নন্দন দত্ত, বীরভূম: অভিযোগ উঠেছিল টাকা আত্মসাতের। বাড়িতে গিয়ে সেই টাকা ফেরত দিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও ঘিরে শোরগোল সাঁইথিয়া ব্লকের মাঠপলশা পঞ্চায়েত এলাকায়। তৃণমূলের মাঠপলশার অঞ্চল সভাপতি আসাদুজ্জামান ওরফে আতিক টাকা ফেরতের কথা স্বীকার করেন।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আতিককে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয় মাঠপলশা পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনকে ঘিরে। দলের তরফে জহিরা বিবির নাম প্রধান হিসেবে দেওয়া হয়। আতিক তা না মেনে তাঁর ভাইপোর বউ সান্তনা বিবিকে প্রধান করেন। তা নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতাও হয়। যার জেরে গত দুমাস ধরে প্রধান নির্বাচিত হয়েও সান্ত্বনা বিবি পঞ্চায়েতে যেতে পারছেন না। পঞ্চায়েতে কোনও কাজ হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মানুষ আতিকের উপর গত দুমাস ধরে ক্ষুদ্ধ। দিন চারেক আগে এলাকার বাসিন্দা আলানুর বিবি এক চায়ের দোকানে আতিককে পেয়ে তাঁর জমির রেকর্ড করার জন্য দেওয়া ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। তার দাবি দেখে অনেকেই টাকা ফেরত চাইতে শুরু করে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: জামিন নাকচ তৃণমূল যুব নেতার, জেলে যেতেই বুকে ব্যথা! ভর্তি হাসপাতালে]
দিন কয়েক আগে আলানুরের বাড়ি গিয়ে ৬০ হাজার টাকা ফেরত দেন আতিক। একজন অঞ্চল সভাপতির এই অবৈধভাবে টাকা নিয়ে ফেরত দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় পঞ্চমীর সকালে। আলানুর বিবি জানান, তার ৯ কাঠা জমি মেয়ের নামে রেকর্ড করার জন্য এক বছরের বেশি সময় আগে ৬০ হাজার টাকা নেন ওই অঞ্চল সভাপতি। কিন্তু তা করে দেয়নি। মেয়ের গলার সোনার হার বিক্রি করে সেই টাকা আতিককে দিয়েছিলেন তিনি। কাজ না হওয়ায় জামাই গত ছ’মাস থেকে মেয়েকে বড় সিজা থেকে আমার মাঠপলশার নতুন পাড়ারবাড়িতে রেখে চলে যায়। তাই টাকা ফেরত চেয়েছিলাম। কিন্তু একবছর পরে ৬০ হাজার টাকায় মেয়ের হার ফেরাতে পারবেন না তিনি। তাই চিন্তা পিছু ছাড়ছে না। এদিকে আতিককে ঘিরে বারবার বিতর্ক হওয়ায় তৃণমূল বিব্রত। সাবের আলি খান জানান, “দল সব জানে। কিন্তু কিছু ব্যবস্থা নিতে পারছে না।” আতিক বলেন, আমি অন্যজনের হয়ে টাকার গ্যারেন্টার ছিলাম। সেই টাকা ফেরত দিয়েছি।