সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের প্রেম বদলে গিয়েছে পরিণয়ে। থিয়েটারের সূত্রে আলাপ হওয়া বান্ধবী মধুরিমা গোস্বামীকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। বৃহস্পতিবারই ঘরোয়া অনুষ্ঠানে চার হাত এক হয় অনির্বাণ-মধুরিমার। সামনে আসে বিয়ের ছবি, মালাবদলের ভিডিও। আর তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশে কাঁটাছেড়া শুরু হয় অনির্বাণের ‘পছন্দ’ নিয়ে। নানা কুরুচিকর মন্তব্যে ভরে ওঠে ভারচুয়াল দেওয়াল। কিন্তু মুখ বুজে সবটুকু মেনে নিতে রাজি নন অভিনেতার অনুরাগীরাও। তাই পালটা দিতে ছাড়ছেন না তাঁরা।
বিয়েটা আগেই সেরে ফেলার কথা ছিল অনির্বাণের। কিন্তু মহামারীর জেরে তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন। অবশেষে লক্ষ্মীবারে মধুরিমার সিঁথিতে সিঁদুরদান করে নয়া ইনিংসের সূচনা করেন। বিয়ের দিন বর-কনে উভয়ের পোশাকই ছিল লাল। মধুরিমা যেখানে লাল সিল্কে সেজে উঠেছিলেন সেখানে অনির্বাণের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবি। বিয়ের বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও সামনে আসতেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসতে শুরু করেন নবদম্পতি। অনেকে আবার অনির্বাণের উদ্দেশে লেখেন, ‘তুমি বিয়ে করে মনটাই ভেঙে দিলে।’ এতদূর পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু এরপরই মধুরিমার উদ্দেশে ধেয়ে আসে নানা কটূক্তি। তাঁর শারীরিক গঠন নিয়ে করা হয় নোংরা মন্তব্য।
[আরও পড়ুন: ফ্রাইং প্যান উঁচিয়ে নুসরতকে হুমকি নিখিলের, ভাইরাল ভিডিওয় তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া]
অনির্বাণের মতো অভিনেতার কীভাবে মধুরিমাকে পছন্দ হল, সে প্রশ্ন করতেও দ্বিধা বোধ করেননি অনেকে। এমনকী তাঁদের বিয়ের ভিডিও দেখে প্রশ্ন তুলেছেন, “কনের মুখে এত বিরক্তি কেন? বিয়ে করতে কি ইচ্ছা করছিল না?” সিঁথিতে সিঁদুর পরানো নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন নেটিজেনদের একাংশ।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হতেই প্রতিবাদের সুর চড়া হয়। অনেকেই অনির্বাণের পাশে দাঁড়িয়ে এমন কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন। বাংলা ছবির এই মুহূর্তের অন্যতম সেরা অভিনেতার অনুরাগী হিসেবেই শুধু নয়, মানুষ হিসেবেও এধরনের নিম্নরুচির মন্তব্যের নিন্দা করেন তাঁরা। অনেকে আবার লেখেন, বিনামূল্যে ইন্টারনেট পেলে মানুষ যা ইচ্ছা তাই লেখে। এক নেটিজেন আবার এক ফেসবুক ইউজারের মন্তব্যের বেশ কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। অশালীন, নিম্নমানের কথায় ভারচুয়াল দেওয়াল ভরানো ওই ইউজারকে একহাত নেন তিনি।
অনির্বাণের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা যেন ‘সমালোচক’দের একটা কথাই বোঝাতে চেয়েছেন। মিঞা-বিবিকে নিয়ে সোশ্যাল দুনিয়ায় এধরনের মন্তব্য করে তাঁরা নিজেদের নিম্নরুচির পরিচয়ই দিচ্ছেন।