সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ ৭০-এ পা দিলেন দক্ষিণী চলচ্চিত্রের সুপারস্টার রজনীকান্ত। খাতায় কলমে ৭০ হলেও কিন্তু বয়সের ভারে মোটেই নুইয়ে পড়েননি অভিনেতা। বরং, তাঁর থেকে বসয়ের থেকে অর্ধেক বয়সের অভিনেত্রীদের সঙ্গে দাপিয়া ছবি করে বেড়াচ্ছেন। আজও সিনেপর্দার সুপারস্টার তিনি। রজনীকান্তের ছবি মানেই সুপারহিট। বক্স অফিসে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। অথচ কী সাধারণ তাঁর জীবনযাপন। মোটেই স্টারডমের মোড়কে নিজেকে মুড়ে রাখেন না। বরং, তিনি সবার প্রিয় ‘থালাইভা’। আর এমন একজন মানুষের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে অনুরাগীদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস যে থাকবে, তা তো বলাই ভাল।
ভক্তদের কথায়, থালাইভার বয়স বাড়ে না। তিনি তো চিরযুবা। তিন দশকের বেশি সময় ধরে ভারতীয় ছবির দুনিয়ায় রীতিমতো রাজ করে বেড়াচ্ছেন রজনীকান্ত। তাঁর নিজস্ব কায়দায় বলা প্রতিটি সংলাপ মুহূর্তে মাতিয়ে দেয় দর্শককে। প্রেক্ষাগৃহে হাত তালির রোল ওঠে। আজ্ঞে, দক্ষিণী সেই সুপারস্টার রজনীকান্তের আজ ৭০তম জন্মদিন। তবে তাঁর আসল নাম কিন্তু অন্য। মোটেই রজনীকান্ত নয়! শিবাজি রাও গায়কোয়াড়, ১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশব থেকেই পারিবারিক অসচ্ছ্বল জীবনের সঙ্গে লড়াই করে কাটিয়েছেন রজনী। পেশায় প্রথমে বাসের কন্ডাকটার ছিলেন। বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। অভিনয়ের প্রতি ভালবাসা থেকেই মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভরতি হয়ে অভিনয়ে ডিপ্লোমা পড়ার জন্য। অভিনয়ের পর রাজনীতির ময়দানেও পা রেখেছেন থালাইভা।
জন্মদিনে রজনীকান্তকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দুই মেয়ে-সহ গ্ল্যামার জগতের আরও অনেকেই। দক্ষিণ ভারতের বহু জায়গায় রজনীকান্তের জন্মদিনে তাঁর ছবি, কাট-আউট দুধ দিয়ে স্নান করান ভক্তরা। মালা পরিয়ে রীতিমতো পুজো করেন। তবে তাঁর জন্মদিন নিয়ে যতই উচ্ছ্বসিত থাকুক ভক্তরা। রজনী কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে অনুরাগীদের সঙ্গে জন্মদিন কাটান না। এমনকী দেশের বাইরে গিয়েই জন্মদিনটা কাটাতে কেন পছন্দ করেন সুপারস্টার৷ কারণ, বহু বছর আগে রজনীর কিছু ডাই-হার্ড ফ্যানরা তাঁর জন্মদিনে অভিনেতার সঙ্গে দেখা করে ফিরছিলেন৷ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মূত্যু হয়েছিল তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ‘ভিনধর্মী’ মিথিলার অতীত নিয়ে কটাক্ষ সৃজিতকে, সমালোচককে একহাত নিলেন বন্ধু অনুপম]
The post ৭০-এ পা ‘থালাইভা’র, জন্মদিনেই রজনীর ‘দরবার’ পোস্টার মুক্তিতে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা appeared first on Sangbad Pratidin.