নন্দিতা রায়, নয়া দিল্লি: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত আশা পারেখ (Asha Parekh)। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করা হল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। ২০২০ সালের ভিত্তিতে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। সেদিনই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সভাপতিত্বে ৬৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার (68th National Film Awards) প্রদান করা হবে।
গুজরাটে জন্ম আশা পারেখের। মা ছিলেন মুসলিম এবং বাবা হিন্দু। ছোটবেলাতেই অভিনেত্রীর নাচের তালিম শুরু হয়ে যায়। আর সেই সুবাদেই শুরু হয় বড়পর্দায় সফর। এক অনুষ্ঠান চলাকালীন ছোট্ট আশার উপর প্রখ্যাত পরিচালক বিমল রায়ের নজর পড়ে। যার ফল ১৯৫২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মা’ সিনেমা। সে ছবিতেই প্রথম শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন আশা পারেখ। তবে শিশুশিল্পী হিসেবে বেশি কাজ করেননি আশা। কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের পরই পড়াশোনায় মন দিয়েছিলেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে ফের অভিনয়ের আসার সিদ্ধান্ত নেন।
[আরও পড়ুন: ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র দ্বিতীয় ভাগে চমক দেবেন হৃতিক! কী বললেন অভিনেতা?]
নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে প্রথমে পরিচালক বিজয় ভাটের কাছে গিয়েছিলেন আশা পারেখ। কিন্তু পরিচালক তাঁকে রিজেক্ট করে দেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই নাসির হুসেনের ‘দিল দেকে দেখো’ ছবিতে সুযোগ পেয়ে যান। হয়ে যান শাম্মি কাপুরের নায়িকা। এরপর আবার পিছনে ফিরে তাকাননি আশা পারেখ। ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘তিসরি মঞ্জিল’, ‘লাভ ইন টোকিও’, ‘আয়া সাওন ঝুমকে’, ‘আন মিলো সাজনা’র মতো সুপারহিট সিনেমা রয়েছে অভিনেত্রীর ঝুলিতে। একসময় বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া নায়িকা ছিলেন তিনি। পরিচালনা এবং প্রযোজনাতেও হাত পাকিয়েছেন।
৭৯ বছরের অভিনেত্রীকে পদ্মশ্রী সম্মানে আগেই ভূষিত করা হয়েছে। এবার পেলেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dada Saheb Phalke Award)। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে এই সম্মান দিতে পেরে গর্বিত ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।