সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারী শরীর নিয়ে সমাজের একাংশের ‘আদিখ্যেতা’র শেষ নেই। তা থাক, তবে তা বিকৃতির পর্যায়ে পৌঁছলেই শুরু হয় সমস্যা। লিঙ্গ ভেদে শারীরিক গঠনে পার্থক্যকে হাতিয়ার করে নানা বিধি নিষেধ চাপানো হয়েছে নারীর উপর। আজকের ভারচুয়াল জেনারেশনও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শিকড় পুরোপুরি উপড়ে ফেলতে পারেনি। তবে অনেকাংশেই সফল। প্রতিবাদের চিৎকার করতে আজকের বেশিরভাগ মহিলাই জানেন। বিশেষ করে শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। তাই তো বক্ষ বিভাজিকা সমেত ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখতে পারেন “মোর চোখেই হারিয়ে যাও… বক্ষ বিভাজিকা (ক্লিভেজ) তাঁর আশ্রয়ের পথ খুঁজে নেবে।”
[আরও পড়ুন: নতুন বছরে মুক্তি পাবে ইরফান খানের শেষ ছবি ‘দ্য সং অফ স্কর্পিয়নস’, প্রকাশ্যে পোস্টার]
নারী শরীরকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করার রীতি ভারতবর্ষে অনেকদিন ধরেই প্রচলিত। ২০২০ সালের করোনা (Corona Virus) কালেও তার উদাহরণ ঘটনা-দুর্ঘটনা হিসেবে পাওয়া গিয়েছে। দিল্লির অভিজাত এলাকা থেকে কলকাতার অত্যাধুনিক সজ্জায় সজ্জিত নিউটাউন, সর্বত্র নারী নির্যাতনের ‘অভিযোগ’ রয়েছে। সিনেমা কিংবা সিরিয়ালের অভিনেত্রী মানেই তো তাঁকে বা তাঁদের শরীর সম্পর্কে মন্তব্য অধিকার পাওয়া যায়! এই মতবাদের অনেক ‘ভক্ত’ রয়েছেন। ইদানীং আবার প্রযুক্তির কল্যাণে সর্বত্র তাঁদের অবাধ বিচরণ। সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে দিব্যি ‘বডি শেমিং’ করে দেওয়া যায়। নিজের এই ছবির মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধেই বার্তা দিলেন শ্রীলেখা। চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদের ভাষা শেখালেন।
নিজের মেজাজে থাকতে ভালবাসেন শ্রীলেখা। সোশ্যাল মিডিয়ায় উচিত কথা বলতে কার্পণ্য করেন না। এর আগেও মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুধু নারী হিসেবে নয় একজন মা হিসেবেও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এবার ‘বডি শেমিং’-এর বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিলেন শ্রীলেখা। পাশাপাশি যেন, এও বুঝিয়ে দিলেন শরীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি। তাই তাঁর প্রদর্শন করা না করার অধিকারও সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত।