সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংস্থার সুনাম নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্ট খারিজ করে পালটা মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থাকেই আক্রমণ করল আদানি গোষ্ঠী। আদানিদের দাবি, যে তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত, সেই তথ্য আংশিকভাবে প্রকাশ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই অভিযোগগুলি আগেই খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
শনিবার হিন্ডেনবার্গের তরফে এক রিপোর্ট পেশ করে দাবি করা হয়, যে সেবি আদানিদের ক্লিনচিট দিয়েছে, সেই সংস্থার প্রধানও আদানিদের থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত। ঘুরপথে আদানিদের থেকে সুবিধা পেয়েছেন সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ। আদানিদের শেল কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব ছিল সেবি চেয়ারপার্সনের স্বামীরও। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে সরানো টাকায় অংশীদারিত্ব ছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ‘ঘরেলু বিবাদ’, উদ্ধব ঠাকরের কনভয়ে গোবর ছুড়ল রাজ ঠাকরের ‘সেনা’]
এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আদানিদের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হল। ওই শিল্পগোষ্ঠীর দাবি, জনসমক্ষে প্রকাশিত তথ্যের কিছু মিথ্যা এবং বিদ্বেষমূলক অংশ নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া আমেরিকার এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে একাধিক বার ভারতের আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। আদানিদের দাবি, এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট আদানি গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে ক্লিনচিট দিয়েছে। তার পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সংস্থার ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘এবার ইডি-সিবিআই মামলা করবে?’, হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্টের পর প্রশ্ন মহুয়ার, সরব কংগ্রেসও]
হিন্ডেনবার্গের এই বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই সরব বিরোধী শিবির। কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ একটি বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্ট সত্যি হলে সেবি কর্তার স্বার্থের সংঘাত নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে। এই ধরনের মামলায় স্বার্থের সংঘাত এড়ানো উচিত। কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি তুলছে। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এক্স হ্যান্ডেলে লিখছেন, “এটা পুরোপুরি আদানির স্টাইল। পুঁজিপতি আস্ফালনের আদর্শ উদাহরণ। এবার কি ইডি-সিবিআই মামলা করবে?”