সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা সম্ভলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হল লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন সদ্য ওয়ানড়ের সাংসদ হওয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে গাজিপুরে আটকানো হয় তাঁদের।
প্রসঙ্গত, আগে থেকেই গাজিপুর সংলগ্ন অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সম্ভল যাত্রা আটকাতে। বসানো হয়েছিল ব্যারিকেড। ছিল কড়া প্রহরা।
এদিন রাহুলদের যাত্রা রুখতে পুলিশি তৎপরতায় হাইওয়েতে প্রবল বিশৃঙ্খলা শুরু হয় সকাল থেকেই। পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। কংগ্রেস কর্মীদের দেখা যায় স্লোগান দিতে দিতে ব্যারিকেড বেয়ে উপরে উঠতে।
বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ রওনা দেন রাহুলরা। ১১টা নাগাদ তাঁরা গাজিপুরে পৌঁছন। কিন্তু এর পর আর এগোতে দেওয়া হয়নি তাঁদের কনভয়। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, 'আমাদের দেশের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যেই আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আমাদের প্রতিনিধি দলকে সম্ভলে যাওয়ার অনুমতি দিতেই হবে।'
সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ নিয়ে একটি মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। মামলায় তিনি দাবি করেন, অতীতে ওই এলাকায় ছিল হরিহর মন্দির। মুঘল আমলে তা ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়। ১৫২৯ সালে এই কাজ করেন মুঘল বাদশা বাবর। বিষ্ণু শংকর জৈনের মামলার ভিত্তিতে মসজিদ সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের নিম্ন আদালত। মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে রবিবার অর্থাৎ দ্বিতীয় সমীক্ষার দিন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়।
নিম্ন আদালতের সমীক্ষার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় জামা মসজিদ কর্তৃপক্ষ। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষ দাবি জানায়, সমীক্ষার নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিতে হবে। সরাসরি স্থগিতাদেশ না দিলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মসজিদে সমীক্ষা নিয়ে নিম্ন আদালত এখন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।