সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের ফল দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। এমনটা কীভাবে হতে পারে? যে প্রার্থী জিততে পারেন, তিনি গেলেন হেরে। রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তাই ইভিএমের সত্যতা যাচাই করতে গ্রামবাসীরা নিজেরাই ঠিক করে বসেন পুনর্নির্বাচন হবে। নিজেরাই গোপনে ভোটটা আর একবার দেবেন তাঁরা। তবে ভোট হবে ব্যালটে। তাঁরা দেখতে চান, ব্যালট গুনে কী ফলাফল আসে।
ঘটনাস্থল মহারাষ্ট্রের শোলাপুর জেলার মালশিরাস বিধানসভার অধীন মারকাদওয়াড়ি গ্রাম। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গিয়েছ। পুলিশি হস্তক্ষেপে বাতিল হয়েছে এই পুনর্নির্বাচনের পরিকল্পনা। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রামে কারফিউ জারি করেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভার নির্বাচনে ফল প্রকাশ হয় ২ নভেম্বর। এই ভোটের পর মালশিরাস বিধানসভা এলাকায় এনসিপি (এসপি) প্রার্থী উত্তম জানকর বিজেপির রাম শতপথীকে ১৩,১৪৭ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন। এর পরই গ্রামের মানুষ ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুনর্নির্বাচনের জিগির ওঠে। গ্রামের মধ্যে ব্যানার টাঙিয়ে তাঁরা লিখে দেন ‘৩ তারিখ পুনর্নির্বাচন হবে।’ সেইমতো আয়োজন শুরু হয়। সরকারি আধিকারিকদের আমন্ত্রণও জানানো হয় ভোট প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষক থাকার জন্য।
কিন্তু খবর পেয়ে প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ফের ভোট করলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মালশিরাসের মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট ২ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই অঞ্চলে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। আলোচনার পর গ্রামবাসীরা পুনর্নির্বাচনের পরিকল্পনা বাতিল করেন। মালশিরাসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নারায়ণ শিরগাভকর বলেন, ''গ্রামবাসীদের আমরা আইনের বিষয়টি বুঝিয়েছি। সতর্ক করেছি যে, একটি ভোট দিলেও মামলা নথিভুক্ত করা হবে।''