সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে অশান্তির পরই তড়িঘড়ি আসরে নামলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার দুপুরে কৃষকরা লালকেল্লার দখল নিতেই প্রশাসনের শীর্ষস্তরে শুরু হয়ে যায় তৎপরতা। বিকেলের দিকে তড়িঘড়ি নিরাপত্তা সংক্রান্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা, দিল্লির পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীনিবাস এবং আইবি প্রধানের মতো আধিকারিকরা। শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে শাহী বৈঠক প্রায় ঘণ্টা দেড়েক চলে।
বৈঠক চলাকালীনই কৃষকরা লালকেল্লা চত্বর খালি করে দিয়ে নিজেদের বিক্ষোভস্থলে ফিরে যাওয়া শুরু করেন। তাঁদের সাফ কথা, ‘আমরা যে বার্তা দিতে চেয়েছিলাম, সেটা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ‘ কৃষকরা লালকেল্লা ফাঁকা করার পরও অবশ্য প্রশাসন বসে থাকেনি। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল মেট্রো পরিষেবা। সিঙ্ঘু, গাজিপুর, টিকরি, মুকারবা চক, নাঙ্গলোইয়ের মতো এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। এদিকে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর। প্রয়োজনে আধাসেনা মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, অমিতের নির্দেশ মতোই রাজধানীতে ১৫ কোম্পানি অতিরিক্ত আধাসেনা মোতায়েন করা হতে পারে। এবং তা মূলত যে যে এলাকা দিয়ে কৃষকরা রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন, সেই সেই এলাকাগুলিতে মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও, সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে পুলিশ এবং আধাসেনার রুটমার্চেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান নয়, কৃষকদের ‘লালকেল্লা অভিযান’ ইস্যুতে মুখ খুললেন রাহুল]
দিল্লি, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীরাও কৃষকদের শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন। তাঁদের স্পষ্ট কথা, কোনওরকম হিংসাই সমর্থনযোগ্য নয়। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অবশ্য পুরো ঘটনার জন্য কেন্দ্রের সংবেদনহীন মানসিকতাকেই দায়ী করেছেন। টুইটে তিনি বললেন, “দিল্লিতে যে দুঃখজনক ঘটনাগুলি ঘটল তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রের সংবেদনহীন মানসিকতা এবং বঞ্চনাই এই ঘটনার জন্য দায়ী। প্রথমত, এই আইনগুলি কৃষকদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই পাশ করানো হল। তারপর ২ মাস ধরে এত বিক্ষোভের পরও কেন্দ্র কৃষকদের গুরুত্ব দিল না। কেন্দ্রের উচিত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এই আইনগুলি প্রত্যাহার করা। “