বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ‘সরকারি সাহায্যের উপর ভরসা না রেখে নিজেরাই সতর্ক হোন। নইলে করোনা অতিমারী থেকে কেউ আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না’, বলে অভিযোগ করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি। শনিবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নিজের ছেলেকে হাসপাতালে ভরতি করতে চেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেওয়া মায়ের প্রসঙ্গ টেনে রবিবার অধীরবাবু বলেন, “করোনা মোকাবিলায় রাজ্য পুরোপুরি ব্যর্থ। বারবার বলা সত্ত্বেও সরকার চিকিৎসা কাঠামো গড়ে তোলেনি। হাসপাতালে ভরতি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে।”
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু সেকথাই প্রমাণ করে বলে দাবি এই সাংসদের। হাসপাতালের উদাসীনতা তরতাজা যুবককে হত্যা করার শামিল বলে অভিযোগ তাঁর। কোন কোন হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে তার তালিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। তাঁর কথায়, “অমিতাভ বচ্চন কোভিড পজিটিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টুইট করে তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাংলায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, অথচ তিনি একটা শব্দ খরচ করলেন না। এতটাই স্পর্শকাতরতাহীন হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
অধীরবাবু বলেন, “করোনা আক্রান্ত হচ্ছে, হাসপাতালে বেড নেই। একজন রোগীর মাকে বলতে হচ্ছে ভরতি না নিলে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করব। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার যদি বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ থাকে, বিন্দুমাত্র সম্মান বোধ থাকে, বিন্দুমাত্র মর্যাদাবোধ থাকে তাহলে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চান।” একের পর এক হাসপাতালে ঘুরেও সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভরতি করতে পারেননি ছেলেকে। শেষ পর্যন্ত চোখের সামনেই মৃত্যু হয় ছেলের। সন্তানকে যে আর কোনওভাবেই ফিরে পাওয়া যাবে না, কঠিন হলেও সেই সত্যি মেনে নিয়েছেন ইছাপুরের চট্টোপাধ্যায় দম্পতি। তবে এখন সুবিচারের আশায় রয়েছেন তাঁরা। রাজ্যের দু’টি সরকারি এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
The post ‘বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ থাকলে মানুষের কাছে ক্ষমা চান’, মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ অধীরের appeared first on Sangbad Pratidin.