সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভোটের আগে তিনিই ছিলেন বঙ্গে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে জোটের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। ভোটের পরও ইন্ডিয়া জোটের ঐক্যে ফাটলের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব যখন ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থে তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিচ্ছেন, ঠিক তখন দিল্লিতে দাঁড়িয়ে অধীর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একপ্রকার গালিগালাজ করে গেলেন।
৫ জুন অর্থাৎ লোকসভার ফলপ্রকাশের পরদিন দিল্লিতে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের বৈঠকে রীতিমতো রাজকীয় অভ্যর্থনা পান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় সব দলের নেতাই বাংলায় ভালো ফলের জন্য অভিষেকের পিট চাপড়ে দেন। তখনও মনে হয়েছিল, জোটের ঐক্যের স্বার্থে হয়তো এবার খানিকটা নরম হবে অধীর। কিন্তু কোথায় কী? দিল্লিতে পা রাখেই ফের পুরনো মেজাজে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
[আরও পড়ুন: গাড়ি-বাড়ি থেকে বেতন-ভাতা, সাংসদ হলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?]
অধীরের স্পষ্ট কথা, "বহরমপুরের নির্বাচনে জিততে দাঙ্গা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি দাঙ্গাবাজ বলে অভিযুক্ত করছি।" প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির চ্যালেঞ্জ, "বহরমপুরের মানুষ খুব শীঘ্রই বুঝবে একটা লোকসভা নির্বাচনে জিততে মুর্শিদাবাদে কী ভয়ংকর খেলাটা খেলেছেন মমতা।" বস্তুত এক কথায় যাকে বলে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করা, সেটাই করছেন বহরমপুরের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় জয়ী NDA, খুশিতে আঙুল কেটে দেবতাকে উৎসর্গ ছত্তিশগড়ের যুবকের!]
ঘটনাচক্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি অধীর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিরও সদস্য। অর্থাৎ কংগ্রেসের (Congress) সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে রয়েছেন তিনি। এ হেন নেতা যখন দিল্লিতে বসে যখন মমতাকে এভাবে আক্রমণ করছেন, তখন সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই। প্রশ্ন উঠছে, অধীরবাবু যে লাগাতার তৃণমূল নেত্রীকে তোপ দাগছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কেন তাঁকে সেন্সর করছে না? এদিনও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও বাংলা নিয়ে কোনওরকম আলোচনা হয়নি। তাহলে কি অধীরের বাড়াবাড়ির নেপথ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের ইন্ধন রয়েছে? এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বহরমপুরের সদ্যপ্রাক্তন সাংসদকে সমর্থন করেছেন।