সোমনাথ রায়: গুরু নানকের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন (Farmers Protest) প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবুও বিল প্রত্যাহার কার্যকর ও অন্যান্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে শনিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে (Om Birla) চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। আরজি জানালেন, অধিবেশনের শুরুতে কৃষক আন্দোলনের সময় মৃত কৃষকদের উদ্দেশে শোকপালন করা হোক।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, দেশের অন্নদাতাদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে এই শোকপ্রস্তাব সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ করানো হোক। তাঁর বক্তব্য, এর মাধ্যমে কৃষক ভাইদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘প্ররোচনায় পা দেব না, চলবে আন্দোলন’, কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে হুঁশিয়ারি রাকেশ টিকাইতের]
উল্লেখ্য়, আরও একটি চিঠিতে লোকসভায় ডেপুটি স্পিকারের শূন্যপদে কাউকে নিয়োগ করার আরজি জানিয়েছেন অধীর। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সংবিধানের ৯৩ ধারা অনুযায়ী, স্পিকার কিংবা ডেপুটি স্পিকারের পদ খালি হলেই সেখানে কাউকে নিয়োগ করতে হয়। দিল্লি হাই কোর্টও এর আগে একটি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে এব্যাপারে তাদের মতামত জানাতে বলেছে। অধীরের দাবি, দ্রুত ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা হোক।
এদিকে শনিবারই কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বিরোধের বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। সোমবার অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর সংসদে সরকারের তরফে কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার বিল পেশ করার সিদ্ধান্তের পরই পূর্ব নির্ধারিত সংসদ ভবন অভিযান আপাতত প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা (Samyukt Kisan Morcha)।
আগে ঠিক ছিল, ২৯ নভেম্বর মোট ৬০টি ট্রাক্টর এবং ১ হাজার কৃষক সংসদ ভবন ঘেরাও করবেন। ঘটনাচক্রে ওইদিনই সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। সেকারণেই ওইদিনের আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।