সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ (Corona virus) ছড়ানোর ভয়ে কাটা হল একের পর এক বাঁশ গাছ! অবাক হলেন? অবাক হলেও এটাই সত্যি। সংক্রমণ ঠেকাতেই নাকি এমন উদ্যোগ নিয়েছে অসমের (Assam) উদলগুড়ির স্থানীয় প্রশাসন।
কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত? উদলগুড়ি জেলার ট্যাঙলা শহরের স্থানীয় প্রশাসনই ওই এলাকার বেশ কিছু বাঁশ গাছ কাটার ব্যবস্থা করছে। আসলে এই গাছগুলিতেই নাকি বাসা বাঁধছে পাখিরা। আর সেই পাখি যদি কোনও ব্যক্তির উপর মলত্যাগ করে, তাহলে সেখান থেকেই ছড়াতে পারে কোভিড-১৯। এই আশঙ্কাতেই নকি বাঁশ গাছ কাটার সিদ্ধান্ত। শহরের বেশ কিছু জায়গায় বাঁশ বাগানে একের পর এক পাখি বাসা বাঁধার কারণেই আতঙ্ক বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে চারগুণ বেশি অক্সিজেন চেয়েছিল দিল্লি, দাবি অডিট কমিটির]
গত ৮ জুন ট্যাঙলার এক ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ বাসিন্দাকে চিঠি দিয়ে তাঁদের চত্বরের বাঁশ গাছগুলি কাটার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁদের এলাকার বাঁশের ঝোপে বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বাঁধছে। তাদের মলত্যাগেই এলাকা নোংরা হচ্ছে। আর অপরিচ্ছন্নতার কারণে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই ওই বাঁশঝাড়গুলি কেটে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। তবেই এই মারণ ভাইরাস থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। বাঁশ গাছগুলি কাটার জন্য নির্দিষ্টি একটি সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করেই বাঁশঝাড়কে বহাল তবিয়তে রেখেছেন তাদের মালিক। তবে এতেও গাছ কাটা আটকানো যায়নি। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন করতে প্রশাসন নিজেই উদ্যোগী হয় এরপর। ট্যাঙলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রশাসনের নির্দেশ মেনে গাছগুলি কাটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ সমেশ্বর কোনওয়ার বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের গাছগুলি কাটতে বলা হলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা তা করেনি। তাই প্রশাসনই উদ্যোগ নিয়ে বাঁশ ঝাড় পরিষ্কার করে দিয়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁশ গাছগুলি কাটার সময় অনেক পাখির ছানা মারা গিয়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে অফিসার ইনচার্জ জানান, তাঁদের কাছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। উলটে পাখিদের মৃত্যুর জন্য বনদপ্তরের ভূমিকাকেই দায়ি করেন তিনি।