নব্যেন্দু হাজরা: বিগত দুই বছর ধরে আর্থিক অনটনে ধুঁকছিল শালিমার শিপইয়ার্ড (shalimar shipyard)। প্রায় ১০০জন কর্মীকে মাইনে দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল রাজ্য সরকারকে। সেই দুদর্শা কাটিয়ে অবশেষে লাভের মুখ দেখল এই শিপইয়ার্ড । দীর্ঘদিন ধরেই লোকসানে চলা সংস্থাটি চলতি আর্থিক বছরে লাভ করেছে এক কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, এই জাহাজ নির্মাণকারী রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ১৫টি ছোট জাহাজ নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে। ইতিমধ্যে ১২টি জাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে তারা। বাকিগুলি খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দেওয়া হবে বলেই খবর। এছাড়াও এই কেন্দ্রটি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের জাহাজের সঙ্গে আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জের (Andaman and Nicobar Islands) পর্যটন দফতরের জাহাজ সারাই ও রঙয়ের কাজও করে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে যেখানে এই সংস্থা ২.৪১ কোটি এবং ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ৩.৬৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল, সেখানে চলতি ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত ২৩.৫৪ কোটি টাকার কাজ করে ফেলেছে তারা। আরও তিন কোটি টাকার কাজ চলতি বছরেই হবে বলে শিপ ইয়ার্ড সূত্রের খবর। আজ এই শিপইয়ার্ড পরিদর্শনে যান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও পরিবহণসচিব সৌমিত্র মোহন। ইয়ার্ড ঘুরে দেখার পাশাপাশি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। বেশ কিছু পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন : ইডির উপর হামলার ঘটনায় ফের সন্দেশখালিতে সিবিআই, এবার ইটভাটায় হানা]
দীর্ঘদিন ধরেই এই সংস্থা লাভের মুখ দেখেনি। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এঁটে উঠতেই শালিমার শিপ ইয়ার্ডেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধাররা। এই সংস্থায় ১০০ জন মতো কর্মী রয়েছেন। তাঁদের বেতন দেয় রাজ্য সরকারই। বিভিন্ন বেসরকারি জাহাজ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে পাল্লা দিতে এখানে অত্যাধুনিক ক্রেন আনা হবে বলে জানানো হয়েছে। ইয়ার্ডের আধুনিকীকরণ এবং জাহাজ তৈরিতে রাজ্যের তরফে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজ্যের সীমিত আর্থিক ক্ষমতা আর কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র আর্থিক বঞ্চনার মধ্যেও শালিমার শিপইয়ার্ড যাতে জেগে উঠতে পারে সেই চেষ্টা করবে আমাদের সরকার। আমরা ইতিমধ্যেই শালিমারকে বিভিন্ন কাজের বরাত দিয়ে একে সচল করছি। তার ফলস্বরূপই এক সময় কার্যত ধুঁকতে থাকা এই সংস্থা চলতি বছরে লাভের মুখ দেখেছে”।