সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০১ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার বাসিন্দা গুলজার আহমেদ ওয়ানিকে ১১ টি বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক করেছিল পুলিশ। ২০০০ সালে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ জুড়ে এই বিস্ফোরণগুলি ঘটেছিল। তারপর কেটে গিয়েছে ১৬ বছর। এতগুলি বছর বিনা দোষে জেল খাটার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন গুলজার। শেষ মামলা অর্থাৎ সবরমতী এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণের ঘটনাতে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না থাকাতেই আহমেদকে নির্দোষ ঘোষণা করল উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকির একটি ট্রায়াল কোর্ট।
[নিজস্ব পৃথক ‘এয়ার ফোর্স’ চায় সেনাবাহিনী]
আহমেদের বাবা একজন সরকারি চাকুরে ছিলেন। ২০০১ সালে দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের আগে বিস্ফোরণ, সবরমতী এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ-সহ ১১ টি ঘটনায় তাঁকে আটক করেছিল দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের পুলিশ যৌথ টিম। কিন্তু কোনও মামলাতেই আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর আইনজীবী ইরশাদ হানিফ। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহেরের বেঞ্চ এরপরেই ট্রায়াল কোর্টকে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন। পাশাপাশি নির্দেশে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করতে হবে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। না হলে আগামী ১ নভেম্বর ট্রায়াল কোর্টকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিতে হবে আহমেদকে। পাশাপাশি দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশেরও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন।
[‘আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তান কিন্তু হারেনি’]
এদিকে, বিনা দোষে প্রায় ১৬ বছর জেলে কাটানোর পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন আহমেদ। শেষ মামলাটির শুনানিতে ট্রায়াল কোর্টে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর আইনজীবী ইরশাদ হানিফ। বলেন, ‘জেলে থেকে ওয়ানির মূল্যবান ১৬ বছর নষ্ট হল। তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? যে সমস্ত পুলিশ অফিসাররা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কি আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে? ওয়ানি পরিবারের যে বিরাট ক্ষতি হয়েছে, তার মূল্য কি সরকার চোকাবে?’