সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে আরও খানিকটা এগিয়ে গেলেন কনজারভেটিভ পার্টির ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা ঋষি সুনাক। ফলে ব্রিটেনের শাসনভার হাতে নিয়ে ইতিহাস তৈরি করতেই পারেন দেশটির প্রাক্তন চ্যান্সেলর বলে মনে করছেন অনেকে।
বরিস জনসনের পদত্যাগের পর থেকেই কনজারভেটিভ পার্টির রাশ ধরতে ঋষির পক্ষে সমর্থন জোরাল হচ্ছিল। তারপরই বরিসের উত্তরসূরি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভোটের প্রথম দফায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাককে এখনও পর্যন্ত ৮৮ জন কনজারভেটিভ সাংসদ সমর্থন করেছেন। তিনি পেছনে ফেলে দিয়েছেন, পেনি মর্ডান্ট (৬৭ ভোট) ও বিদেশ সচিব লিজ ট্রাসের (৫০ ভোট) মতো হেভিওয়েটকে। ভোটপর্বে হেরে বিদায় নিয়েছেন ইরাকি বংশোদ্ভূত কনজারভেটিভ সাংসদ তথা বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাবি ও জেরেমি হান্ট। আজ, বৃহস্পতিবার দলীয় প্রধান নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট দেবেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৩৫৮ কনজারভেটিভ সদস্য। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৫ সেপ্টেম্বর।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনে তুঙ্গে রাজনৈতিক ডামাডোল, পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের]
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ঋষি এগিয়ে গেলেও নাম তুলে নিয়েছেন প্রীতি পাটিল। গুজরাতি বংশোদ্ভূত প্রীতি বর্তমানে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “আমি জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আমি নেই। ব্রিটেনকে সুরক্ষিত রাখাই আমার লক্ষ্য।” অন্যদিকে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও শেষ মূহুর্তে তিনিও নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ২১ জুলাই কনজারভেটিভ পার্টির তরফে এই আট প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে থেকে ২ জনকে বেছে নেওয়া হবে। তাদের মধ্যে শেষ লড়াই হবে।
উল্লেখ্য, দাদাভাই নওরোজি যেদিন জিতেছিলেন, তার ১২৩ বছর পরে, ২০১৫ সালে ব্রিটেনে আর-একটি সাধারণ নির্বাচন হয়। সেবারে ইয়র্কশায়ারে রিচমন্ড (ইয়র্কস) নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন ৩৫ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ ঋষি সুনাক। সাউদাম্পটন শহরে জন্ম। এদেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী, অভিজাত স্কুলগুলির একটি, উইনচেস্টার কলেজে পড়াশোনা। তারপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড। অবশ্য ভারতীয়দের কাছে আরও একটি পরিচয় আছে ঋষি সুনাকের। তাঁর স্ত্রী অক্ষতা, ভারতের বিখ্যাত প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির কন্যা। সবমিলিয়ে ব্রিটেনে নতুন ইতিহাস তৈরি হতেই পারে বলে মনে করছেন অনেকে।