সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য বিশাল জয় এসেছে লোকসভায়। গোটা দেশ গেরুয়াময়। ভোট মানচিত্রে নজর রাখলে অন্য কোনও রং যেন চোখেও পড়ছে না। কিন্তু, এ হেন আনন্দের দিনেও বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা বুঝিয়ে দিলেন, এখানেই থেমে থাকব না। বাংলা দখল না করা পর্যন্ত স্বস্তি নেই। বিজেপির বিজয়োৎসব যেন বিজেপির জন্য বাংলা জয়ের প্রত্যয়ের মঞ্চে পরিণত হয়।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্মযুদ্ধে জয়ী হলাম’, বিরাট ব্যবধানে জিতে প্রতিক্রিয়া সাধ্বী প্রজ্ঞার]
মঞ্চ থেকে অমিত শাহ বলছেন বাংলায়….. সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছেন সমবেত কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী। ফের অমিত শাহ বলছেন, বাংলায়.. ফেরা চেনা উচ্ছ্বাস। এবার অমিত শাহ বললেন, ভারত মাতা কি.. জনতা সমস্বরে বলে উঠল জয়। আবারও অমিত শাহ ফিরলেন বাংলার প্রসঙ্গে। বিজেপি সভাপতি বললেন, ”বাংলায় যে অত্যাচার, যে অনাচার আমাদের সঙ্গে করা হয়েছে। তারপরেও যে আমরা ১৮টি আসন জিতেছি। উপনির্বাচনেও ৭ আসনের মধ্যে জিতেছিল চার আসনে।” মোদি বললেন, “এই জয় মানুষের জন্য সমর্পিত। প্রত্যেক জয়ীকে আমার শুভেচ্ছা। অনেক বাধা পেরিয়েছি, নীতি বিসর্জন দিইনি। বাংলায় ২ সাংসদ থেকে এই সাফল্য অভূতপূর্ব।”
[আরও পড়ুন: ‘মোক্ষম চড়’, নির্বাচনী লড়াইয়ে নিজের পরাজয়ের স্বীকারোক্তি প্রকাশ রাজের]
ধর্মনিরপেক্ষতার নকল মুখোশ পরে দেশে ৩০ বছর নাটক চলেছে। ২০১৯ আসতে আসতে সেকুলারদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। এই নির্বাচনে একটা রাজনৈতিক দলও ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে দেশের মানুষকে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারেনি। জাতির নামে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ হয়েছে। ভারতে এখন দুটি জাতি আছে। একটা জাতি গরিব, আর এক জাতি যারা গরিবি থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাই। এই নির্বাচন একটা নতুন দিকনির্দেশ।
শেষদিকে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মিশ্র বার্তা দিয়েছেন। প্রথমে লোকসভায় জয়ীদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। তারপর জানান, বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে চলব। শেষে নিজেই বললেন, ভোটপ্রচারের সময় কোন বিরোধী কী বলেছেন তা মনে রাখবেন। এটা যে বিরোধী শিবিরের জন্য প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি সেকথা বলাই বাহুল্য।
The post বিজয়োৎসবের দিনেও বাংলায় গেরুয়া ধ্বজা ওড়ানোর শপথ মোদি-শাহ’দের appeared first on Sangbad Pratidin.