সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের ফল প্রকাশ হতেই অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট বিজেপিতে। ‘অব কি বার চারশো পার’ বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্লোগান মুখ থুবড়ে তো পড়েছেই, সঙ্গে বিজেপির আসনসংখ্যা যে গতবারের তিনশোর থেকে অনেকটাই নেমে গিয়ে ২৪০-এর আশপাশে পৌঁছেছে, তাতে দলের অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আড়ালে। সূত্রের খবর, বিজেপির মতাদর্শগত অভিভাবক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘও বিজেপির ফলাফল নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে।
সংঘ পরিবারের পছন্দের নীতিন গড়করি, রাজনাথ সিংয়ের মতো নেতাদের পিছনের সারিতে পাঠিয়ে দিয়ে দলের পুরো রাশই যে মোদি-শাহ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন, তারই ফল দলকে ভুগতে হচ্ছে বলেই মনে করছে সংঘ পরিবার (RSS)। গড়করি, রাজনাথের মতো নেতাদের দলের কাজে আরও অনেক বেশি লাগানো হলে তাঁদের নিজেদের রাজ্য যথাক্রমে মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে দলের আসনসংখ্যা এভাবে নেমে যেত না বলে বিজেপির অনেক নেতাই মনে করছেন।
[আরও পড়ুন: মেলেনি কুলার, বার বার নেওয়া হচ্ছে ওজন! তিহাড়ে কেজরির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আপের]
শুধুমাত্র দলের পুরনো নেতাদের কোণঠাসা করাই নয়, মোদির (Narendra Modi) আমলে দলের থেকে বেশি ব্যক্তিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তা নিয়েও বিজেপির একাংশের নেতা অখুশি। এবারে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার যে ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ শীর্ষকে প্রকাশ করা হয়েছে তাতে প্রশ্ন উঠেছে, ‘সব কিছুই তো মোদিময়। সেখানে বিজেপি কোথায়?’ সেই প্রশ্নও আগেও দলের অন্দরে উঠেছিল।
আবার গতবার বিজেপির আসনসংখ্যা বেশি থাকায় মোদি-শাহরা যে এনডিএ-র জোট শরিকদের পাত্তাও দেননি তাতেও অখুশি সংঘ পরিবার। শিবসেনা, অকালি দলের মতো পুরনো শরিকরা তাদের ছেড়ে গিয়েছে। নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডুরাও একই রাস্তাতে হাঁটলেও পরবর্তীকালে তঁাদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে এনডিএ-তে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সম্পর্ক যে আগের মতো নেই, তা সকলেরই জানা। এই দুই নেতা যদি আবারও এনডিএ থেকে বেরিয়ে যান তাহলে সরকার টিকবে কি না, সেই আশঙ্কার মেঘও বিজেপি শিবিরে আনাগোনা করছে এখন থেকেই।