সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogoi) বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে চেয়ে আরজি জমা পড়েছিল অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালের কাছে। কিন্তু তিনি তাতে সম্মতি দেননি।
[আরও পড়ুন: আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি রাখার দায় নিল জইশ-উল-হিন্দ]
কেন এই উদ্যোগ? অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আরজিতে সমাজকর্মী সাকেত গোখেল জানিয়েছেন, চলতি মাসে একটি অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তিনি বিচারবিভাগকে ‘জীর্ণ, ভগ্নপ্রায়’ বলেন। জানান, আদৌ কি বিচার পাওয়া যায় আদালতে? কে আদালতে যায় বলুন তো? আদালতে গিয়ে ঘষতে ঘষতে জুতোক্ষয় করা ছাড়া আর কিছু হয় না। যাঁদের প্রচুর টাকা, তাঁরাই আদালতে যান। কিন্তু জবাবি চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, “আমার সাক্ষাত্কারের পুরোটা দেখার সুযোগ হয়েছিল। এটা স্পষ্ট যে, যা বলা হয়েছিল তা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভালই এবং কোনওভাবেই আদালতকে কলঙ্কিত করবে না বা আইনের দৃষ্টিতে এর কর্তৃত্বকে খর্ব করবে না।”
এই বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অড়যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির মন্তব্যগুলি ‘কঠোর’ হলেও বিচারবিভাগের খামতি সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন মাত্র। উল্লেখ্য, আদালত অবমাননা আইনে কোনও ব্যক্তি অন্য কারও বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা করতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বা সলিসিটর জেনারেলের কাছ থেকে সম্মতি নেওয়া প্রয়োজন। না হলে আদালত অবমাননার মামলা করা যায় না। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের তদন্ত বন্ধ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই অভিযোগের পিছনে বড়সড় ‘ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে বলেও মনে করছে আদালত। তবে তা নিয়ে এদিন নতুন করে আর তদন্তের নির্দেশ দেয়নি আদালত। উল্লেখ্য, যৌন হেনস্তা মামলায় আগেই রঞ্জন গগৈকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন বিচারপতিরা।