shono
Advertisement

‘২২০ টা আসন না পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব’, কেতুগ্রামের সভা থেকে চ্যালেঞ্জ অনুব্রতর

একাধিক ইস্যুতে এদিন কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।
Posted: 04:28 PM Dec 25, 2020Updated: 05:24 PM Dec 25, 2020

ধীমান রায়, কাটোয়া: “২২০ টা আসন না পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব”, কেতুগ্রামের সভা থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই বাংলায় এনআরসি (NRC) হতে দেবেন না। একাধিক ইস্যুতে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে।

Advertisement

শুক্রবার, বড়দিনের দুপুরে কেতুগ্রামে জনসভা করেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বিজেপির ‘সোনার বাংলা’ তৈরির প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন তোলেন, “যদি বিজেপি সোনার বাংলা তৈরি করতে পারে তবে সোনার ভারত কেন হল না? কেন এভাবে হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের, দরিদ্র মানুষকে?” হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, প্রয়োজনে রক্তবন্যা বইবে, কিন্তু বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না তাঁরা। বিজেপিকে মিথ্যেবাদী, বেইমানের দল বলে কটাক্ষ করেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২২০ টা আসন না পেলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কারণ, তিনি জানেন বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে রয়েছেন। 

[আরও পড়ুন: ক্রিসমাসের ঠিক আগেই সুখবর, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ, মৃত্যুর হার কমল অনেকটাই]

এদিনের সভা থেকে ফের সকলের সামনে তৃণমূলের উন্নয়েনর খতিয়ান তুলে ধরেন অনুব্রত। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “৫ বছরে প্রত্যেকে ২৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পাবেন বিনামূল্য। দেশের আর কোনও রাজ্যে এমনটা হয়নি। রেশন ফ্রি, শিক্ষা ফ্রি, কার্যত সব কিছুই বিনামূল্যে হাতের নাগালে পৌঁছে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা কোথাও হয় না।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপক্ষে হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাংলার জন্য যা করছেন, পৃথিবীর আর কারও পক্ষে তা সম্ভব নয়।” এদিনের সভা থেকেও দলত্যাগী তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ করেন অনুব্রত। বলেন, “নেতারা নয়, কর্মীরাই শেষ কথা। তাই যে নেতারা দল ছাড়তে চান ছেড়ে দিন, তাতে কোনও সমস্যা নেই। কর্মীরা মমতা বন্দ্যোাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন।” এদিন সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অনুব্রত। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই বলেন, “অতই যদি খারাপ হত তৃণমূল, তাহলে তিনটে দপ্তরের মন্ত্রিত্ব, ১৮ টা চেয়ারম্যানের পদ নিলেন কেন? বাবা এমপি, বাড়িতে একটা চেয়ারম্যান নেওয়ার কী দরকার ছিল? ও বাঁচার জন্য গিয়েছে।”

[আরও পড়ুন: রেলে চাকরির টোপ দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণা, রিষড়া স্টেশন থেকে ধৃত দুই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার