শুভঙ্কর বসু: উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ (Upper Primary TET) প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ফের বেনিয়মের অভিযোগ। যার জেরে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ, উচ্চ প্রাথমিকের কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি (সিডিউল কাস্ট) এবং তফসিলি উপজাতির (সিডিউল ট্রাইব) আসন সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি।
একাধিক ক্ষেত্রে তফসিলি উপজাতির আসনে তফসিলি জাতিভুক্ত পরীক্ষার্থীদের স্থান দেওয়া হয়েছে। অন্তত ৭৫টি অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানিতে রাজ্য সরকার অবশ্য জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: কৃষকদের প্রতিবাদকে খালিস্তানি আন্দোলনের সঙ্গে তুলনার জের, কঙ্গনার বিরুদ্ধে দায়ের FIR]
মামলাকারীর আইনজীবী দেবজ্যোতি বসু দাবি, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত ২০১৬ সালের পরীক্ষাতেই বেনিয়ম হয়েছে। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের যে তালিকা পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, তফসিলি উপজাতিভুক্ত পরীক্ষার্থীদের তালিকায় ‘মণ্ডল’, ‘মাহাতো’ পদবির পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন।
অভিযোগ, এঁরা তফসিলি উপজাতিভুক্ত নন। তা সত্ত্বেও তারা ওই সংরক্ষণ সংক্রান্ত সুবিধা পেয়েছেন। এ ধরনের অন্তত ৭৫টি ঘটনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবজ্যোতিবাবু। কারা তফসিলি জাতি এবং কারা তফসিলি উপজাতি ভুক্ত তালিকায় পড়বেন সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। এ বিষয়টিও মামলায় উল্লেখ করেন তিনি। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাজ্য সরকার কি আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: ‘দল যে দায়িত্ব দেবে, সেটাই পালন করব’, দিল্লিতে তৃণমূলে যোগদানের পর বললেন কীর্তি আজাদ]
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের টেটের (TET) মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু হাই কোর্টে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার জেরে থমকে যায় সেই নিয়োগ। পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশের পরই হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, মেধা তালিকায় গড়মিল রয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। তার পরেও সমস্যা কাটেনি। ফের মামলা হয়।