সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মন্তব্য করেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারতের হাল তীব্র অর্থসংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার মতোই হতে চলেছে। সেই পরিস্থিতি এখনও তৈরি না হলেও ভারতীয় অর্থনীতির রক্তক্ষরণ অব্যাহত। একদিকে যখন লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি, সেই সময় ফের ভারতীয় টাকার দাম পড়ল। সর্বকালীন রেকর্ড ছুঁয়ে ডলার (Doller) নিরিখে টাকার দাম হল ৭৭ টাকা ৮১ পয়সা।
মার্চের শুরুতেই ৭৭ টাকায় পৌঁছে যায় ডলারের দাম। গত ২৭ মে যা ৭৭ টাকা ৭৩ পয়সায় পৌঁছয়। এবার আরও পড়ল টাকার দাম। দিনের শুরুতে দাম ছিল ৭৭ টাকা ৭৪ পয়সা। যদিও তা একধাক্কায় ৭৭ টাকা ৮১ পয়সায় নেমে আসে। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় নিহত শিক্ষককে শ্রদ্ধা, বদলাচ্ছে সরকারি স্কুলের নাম, ঘোষণা প্রশাসনের]
মুদ্রাস্ফীতি সামাল দিতে সম্প্রতি নতুন করে রেপো রেট বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। যার প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারে। রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট বাড়ানোর পর থেকে দেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলোও সুদ বাড়াবে বলেই ধরে নেওয়া যায়। কয়েকটি ব্যাংক সেই পক্রিয়া শুরুও করে দিয়েছে। এর ফল প্রভাব পড়বে ঋণের কিস্তিতে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের হাতে অর্থের জোগান কমছে। উপরন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশীয় বিনিয়োগকারীরাও নতুন করে বিনিয়োগ করতে চাইছেন না।
[আরও পড়ুন: বিবাহবিচ্ছিন্না বোনের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো উচিত ভাইয়ের, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের‘
প্রসঙ্গত, করোনা (Covid) পরিস্থিতিতে দেশের জিডিপির (GDP) অধোগতি, বিপুল মানুষের কাজ হারানো। পরবর্তীকালে রাশি-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে জালানির দাম বেড়ে যাওয়া। ফলাফল মুদ্রাস্ফীতি। এমনকী সম্প্রতি বিদেশে গম রপ্তানিও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। পরিস্থিতি এমন যে সম্প্রতি কেন্দ্রের সুরে রাজ্যগুলিকে পেট্রল (Petrol) ও ডিজেলের ভ্যাট কমানোর পরামর্শ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্যগুলিও পদক্ষেপ করুক, চায় তারা। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নরের (RBI) মতে, কেন্দ্র সরকার শুল্ক কমানোর পর বাজারে ভাল প্রভাব পড়েছে। RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারগুলি আরও ভ্যাট কমালে মুদ্রাস্ফীতির চাপ অনেকটা কমানো যাবে।”