সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এর আগে তিনি বলেছিলেন, বিজেপির (BJP) ভ্যাকসিন তিনি নেবেন না। অবশেষে সোমবারের বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ঘোষণার পরে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। সেই সঙ্গে খোঁচা মেরে দাবি করলেন, জনরোষের ধাক্কাতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বদল।
মঙ্গলবার টুইটারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল অখিলেশকে। তিনি লেখেন, ‘‘জনরোষের দিকে তাকিয়ে শেষ পর্যন্ত সরকার টিকার রাজনীতিকরণের থেকে সরে এসে সরকার টিকাকরণের সব দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানাল অবশেষে। আমরা বিজেপির টিকার বিরুদ্ধে। কিন্তু ‘ভারত সরকার’-এর টিকাকে স্বাগত জানাচ্ছি। এবার আমরাও টিকা নেব। পাশাপাশি টিকার ঘাটতির কারণে যাঁরা টিকা নিয়ে উঠতে পারেননি, তাঁদেরও আলাদা করে টিকা নেওয়ার অনুরোধ জানাব।’’
[আরও পড়ুন: যোগীর হয়ে টুইট করলেই মিলবে ২ টাকা, ‘ভুয়ো’ অডিও ক্লিপ কাণ্ডে ধৃত ২]
সোমবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, এবার থেকে টিকাকরণের জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে আর কোনও অর্থ ব্যয় করতে হবে না। ২১ জুন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেবে ভারত সরকার। এখন থেকে দেশে উৎপাদিত মোট ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ কিনবে কেন্দ্র। সেই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারগুলির হাতে। রাজ্য সরকারকে ভ্যাকসিনের জন্য কোনও টাকা খরচ করতে হবে না। এই প্রক্রিয়া আগামী ২১ জুন যোগ দিবস থেকে শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকাকরণ মূলত কেন্দ্রের হাতেই ছিল। দেশ বিনামূল্যে টিকাকরণের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু তারপর অনেক রাজ্যই টিকাকরণের ভার নিজেদের হাতে নিতে চাইছিল। স্বাস্থ্য যেহেতু মূলত রাজ্যের ব্যাপার, তাই ভারত সরকার রাজ্যগুলির উপর টিকাকরণের (Vaccination) ভার ছেড়েছিল। কিন্তু এরপরই দেখা গিয়েছে, অনেক রাজ্য সরকারেরই টিকা দানে সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যা মেটাতেই কেন্দ্র আগের মতো সব নাগরিকের টিকাকরণের দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।