সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'অগ্নিবীর' (Agniveer) প্রকল্প পুনর্বিবেচনা হওয়া উচিত। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সেনায় নিয়োগের ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন তরুণ প্রজন্ম। ডামাডোলের দিল্লিতে নয়া দাবি তুলল নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) দলের নেতা। শরিকি চাপানউতরে নতুন চাপে পড়লেন এনডিএ জোটের নেতা নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
২০২৪ এ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার হ্যাট্রিক করতে চলেছেন মোদি। তথাপি পরিস্থিতি গত দুই বারের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। জোট শরিক দলগুলির সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারবে না বিজেপি। সেই কারণেই মোদির মুখে রামনামের বদলে চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং নীতীশের কুমারের ঢালাও প্রশংসা। হাসি মুখে পাশে বসাচ্ছেন আঞ্চলিক দলের দুই নেতাকে। তাঁরাই 'কিংমেকার' বুঝে মন্ত্রিত্বের লম্বা লিস্ট ধরিয়েছে চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ। 'ফেলতে পারছি না, আবার গিলতেও পারছি না' অবস্থায় নয়া অস্বস্তি অগ্নিবীর প্রকল্প পুনর্বিবেচনার দাবি।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর স্ট্রাইক রেট কমল ২৯ শতাংশ! বাড়ছে রাহুলের সাফল্যের হার]
বৃহস্পতিবার জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেন, "দল সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের প্রকল্প অগ্নিবীর-এর পর্যালোচনা চাইবে। একাধিক রাজ্যে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন তরুণরা। এই প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। তাই পুনর্বিবেচনা চাইব। আমরা বিষয়টির বিরোধিতা করছি না।" পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে গলা মিলিয়ে নীতীশের দল গোটা দেশে জাতিগত জনগণনার দাবি করেছে। বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদাও দাবি করেছে ত্যাগীর দল।
[আরও পড়ুন: চন্দ্রবাবুর সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাতে স্ট্যালিন, দিল্লি দরবারের জল গড়াবে কোনদিকে?]
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীর (Indian Army) লোকবল অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের স্বার্থে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এর মাধ্যমে সেনায় অস্থায়ীভাবে ৪ বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। যাদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’। চার বছরের মেয়াদ শেষে ১০ শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে বলে সেসময় ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। বাকি ৯০ শতাংশ অগ্নিবীরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। পরবর্তীকালে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বিএসএফ এবং আধাসেনায় সংরক্ষণ পাবেন অগ্নিবীররা।