সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের আগে 'ঘরেলু বিবাদে' জর্জরিত কংগ্রেস ও বিজেপি দুই শিবিরই। বিজেপি প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতেই পদত্যাগ করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। আর কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না হলেও বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত হাত শিবির।
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির একাংশই। প্রতিবাদে সোশাল মিডিয়াতেই দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাশাপাশি, অনেকে পদত্যাগও করছেন বলে ঘোষণাও করে দিয়েছেন। তার মধ্যে বিজেপিকে মোক্ষম ধাক্কাটি দিয়েছেন দেশের ধনীদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা সাবিত্রী জিন্দাল। জিন্দাল গোষ্ঠীর প্রধান সাবিত্রী হিসার থেকে টিকিট না পাওয়ায় সেখান থেকেই নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেছেন।
[আরও পড়ুন: কোটি কোটির দুর্নীতি, পদের অপব্যবহার! সেবি প্রধানকে তলবের সিদ্ধান্ত সংসদীয় কমিটির]
পাশাপাশি, বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার ভাই বিদু্যৎমন্ত্রী রঞ্জিত সিং, প্রতিমন্ত্রী বিশ্বম্ভর সিং বাল্মীকি, বিধায়ক লক্ষ্মণ নাপা, প্রাক্তন মন্ত্রী করণ দেব কম্বোজ ও কবিতা জৈন। এর মধ্যে লক্ষ্ণণ নাপা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। নির্দল হিসাবে রানিয়া থেকে লড়ার কথা জানিয়েছেন রঞ্জিত সিং। তিনিও কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন।
[আরও পড়ুন: জোটেনি অ্যাম্বুল্যান্স, মৃত সন্তানদের কাঁধে নিয়ে ১৫ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন দম্পতি]
এ তো গেল বিজেপির পরিস্থিতি। কংগ্রেস আবার অন্য সমস্যায়। হরিয়ানার কংগ্রেস নেতারা কোনওভাবেই আপের সঙ্গে জোটের পক্ষে নন। কিন্তু রাহুল গান্ধী অন্তত ৫-৭টি আসন আপকে ছাড়ার পক্ষে। তাতে আবার আপত্তি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিং হুডার। আসলে আপ যে আসনগুলি চাইছে, সেগুলিতে আবার হুডা নিজের ঘনিষ্ঠদের টিকিট দিতে চায়। তাছাড়া কংগ্রেস এই আসনগুলিকে সম্ভাবনাময় আসন বলে মনে করছে। এদিকে কংগ্রেস এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। এক তো প্রতিটি আসনের জন্যই শয়ে শয়ে আবেদন পত্র জমা পড়েছে। তার উপর কুমারী শৈলজা এবং হুডা শিবিরের দ্বন্দ্ব, চারিদিক সামলাতে নাজেহাল হাত শিবির।