সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনে পড়ে ‘অসমঞ্জবাবুর কুকুর’? সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছোটগল্পে ব্রাউনি নামের এক কুকুর খিলখিলিয়ে হাসত। কিন্তু বাস্তব তো আর তা হয় না। কখন আপনার পোষ্য খুশি হচ্ছে, কখন দুঃখে উদাস হচ্ছে তা পরিষ্কার বোঝা সম্ভব নয়। ভরসা কেবল তাদের শরীরী ভাষা। কিন্তু যদি অবিকল তারা কী বলতে চাইছে তা বোঝা যেত? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআই ব্যবহার করে কি এবার সেই অসাধ্য সাধন সম্ভব হবে? তেমনই চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যানিয়েল মিলস নামের এক পশু চিকিৎসক জানিয়েছে, এআই পোষ্যদের ভাষাকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেবে, এই সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে ‘দ্য সায়েন্স ডাইরেক্ট’ নামের এক জার্নালে দাবি করা হয়েছে, বিড়ালদের মুখের অভিব্যক্তি সব মিলিয়ে ২৭৬ রকমের। অন্য বিড়ালদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য সেই অভিব্যক্তিগুলি তারা ব্যবহার করে। চিকিৎসকদের দাবি, আবার যখন বিড়ালরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলে, তখন তাদের অভিব্যক্তি বদলে যায়। আর এখানেই কাজে আসতে পারে এআই। এর সাহায্যেই বিড়ালদের এই রকমারি অভিব্যক্তির সঠিক অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের বাজারেও স্বস্তি, ধনতেরাসের আগে সামান্য কমল সোনার দাম]
ড. মিলসের মতে, এসব ক্ষেত্রে বিড়ালদের কানের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখে এআইকে কীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, তার হদিশ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। যদি সব ঠিকঠাক চলে, তবে আগামিদিনে প্রিয় পোষ্যের শরীর খারাপ কিংবা অন্য কোনও সমস্যার জলদি সমাধান সম্ভবপর হতে পারে তাদের মনের কথা পড়ে ফেলে। পোষ্যপ্রেমীদের জন্য এর চেয়ে ভালো খবর আর কী হতে পারে। এআই (AI) মানব সভ্যতার জন্য বিপদ ডেকে আনবে কি না, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ইতিমধ্য়েই উঠেছে। এর মধ্য়েই সামনে এল এই সম্ভাবনা, যাকে ঘিরে উত্তেজিত পশুপ্রেমীরা।