স্টাফ রিপোর্টার : পঞ্চায়েতের লড়াইকে সামনে রেখে দ্রুত ব্লকস্তরে কংগ্রেসের (Congress) কমিটি গড়ার কথা জানিয়ে গেল এইআইসিসি (AICC) নেতৃত্ব। তবে সেই কাজে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরির (Adhir Ranjan Chowdhury) ) উপর ভরসা না রেখে সরাসরি নিজেদের জেলা সফরের কথা জানিয়ে গেল নেতৃত্ব। তার জন্য প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সংযোগ তৈরি করতে হবে।
শনি ও রবিবার দু’দিনব্যাপী কলকাতার কর্মসূচি সেরে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষকরা বুঝতে পেরেছেন, প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে নিচুতলার কর্মীদের কোনও যোগাযোগ নেই। জেলাস্তরের নেতৃত্বকে তাই বার্তা, তাঁদের কথা শুনতে ও সমস্যা বুঝতে পর্যবেক্ষকরা নিজেরাই জেলায় ঘুরবেন। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতেই হবে। কংগ্রেসের উপর বিশ্বাস ফেরত চাই। এর মধ্যে বৈঠকে লোকসভা ভিত্তিক জেলা সংগঠন ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে।
[আরও পড়ুন: তালিবানি মানসিকতা! স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ায় হিংসা, হাত কেটে ‘শাস্তি’ বেকার স্বামীর]
পঞ্চায়েত ভোটে একা লড়ারও প্রস্তাব রয়েছে। সঙ্গে জানানো হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সংগঠন কোথাও দুর্বল হলে আসন সমঝোতা হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরির সামনেই একাধিক মত তৃণমূলের দিকে গিয়েছে। এআইসিসির শীর্ষ নেতৃত্বকে সব রিপোর্ট দেবেন পর্যবেক্ষকরা। অন্যদিকে, অধীর চৌধুরিকে সরানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। পরবর্তী সভাপতি হিসাবে প্রাক্তন সভাপতি সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya), প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় ও নেপাল মাহাতোর নাম আলোচনায়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের খাবারে মিলল কেঁচো! তদন্তের নির্দেশ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের]
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে রাজ্যে উদয়পুরের ধাঁচে কংগ্রেসের দু’দিনের নবসংকল্প শিবিরেই শুরু হয় অধীর চৌধুরিকে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতিকে মান্যতা দিয়েই আগামি দিনে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরিকে সরানোর প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে চলেছে। মূলত রাজ্যে একচ্ছত্র আধিপত্যে প্রদেশ কংগ্রেস চালানোর অভিযোগ অধীরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের। তাতে একুশের ফল সেই সিদ্ধান্তকে ত্বরান্বিত করেছে। সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে চলার একছত্র সিদ্ধান্তের জেরে দলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অধীরকে।