সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলা ফুটবলারদের হেনস্তার অভিযোগে দীপক শর্মাকে (Deepak Sharma) সাসপেন্ড করল সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (AIFF)। খাদ এফসির দুই মহিলা ফুটবলার অভিযোগ করেছিলেন, মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের ঘরে ঢুকে হেনস্তা করেছেন ওই এআইএফএফ কর্তা। তার প্রেক্ষিতে সংস্থার কার্যকরী সমিতি দীপক শর্মাকে ফুটবল সংক্রান্ত যে কোনও কাজকর্ম থেকে বরখাস্ত করেছে।
১ এপ্রিল এআইএফএফ একটি জরুরি মিটিং ডাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি, সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ। দীপককেও সেখানে ডাকা হয়। আজ, ২ এপ্রিল কার্যকরী সমিতির আলোচনার পর তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা নিয়ে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) বলেন, "মহিলাদের ফুটবলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এআইএফএফ দায়বদ্ধ। গোয়ায় লিগ চলাকালীন যে ঘটনা ঘটেছে, তা দেশের মহিলা ফুটবলের উন্নতির প্রকৃত ছবি নয়। এই বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে এআইএফএফের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।"
[আরও পড়ুন: হারের হ্যাটট্রিক মুম্বইয়ের! এবার কাকে দোষ দিলেন ক্যাপ্টেন হার্দিক?]
দীপক হিমাচল প্রদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সচিব ছাড়াও ফেডারেশনের (AIFF) এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য। তিনি খাদ এফসি নামে একটি ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেই দলের মহিলা ফুটবলার দাবি করেন, খেলার জন্য গোয়ায় থাকাকালীন তাঁদের হেনস্তা করেছেন ফেডারেশন কর্তা। গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পরে শুক্রবারই ফেডারেশনে অভিযোগ জানান দুই মহিলা ফুটবলার। অভিযোগ পেয়ে শুরু হয় তদন্ত। দীপককে নির্দেশ দেওয়া হয়, মহিলা ফুটবলারদের কোনও ক্ষতি করবেন না বলে চিঠি দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এক্স হ্যান্ডেলে এআইএফএফ-কে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেন। হেনস্তার অভিযোগে প্রথমে গোয়া পুলিশ থানায় ডেকে পাঠায় দীপককে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিন পেয়ে যান। অবশেষে তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা।