সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের কড়া নির্দেশিকা, একের পর এক গ্রেপ্তারির পরও আকাশপথে জারি রইল বোমাতঙ্ক। গুজব ছড়ানো হল, বোমা রাখা রয়েছে দিল্লি থেকে ইন্দোর হয়ে মুম্বইগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে এফআইআর দায়ের মধ্যপ্রদেশ পুলিশের। জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে এই গুজব।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই৬৩৬ বিমানে বোমা রাখা রয়েছে বলে মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়া প্ল্যার্টফর্ম এক্স-এ একটি বার্তা ছড়িয়েছে দেওয়া হয়। ততক্ষণে দিল্লি থেকে রওনা দিয়ে দিয়েছে বিমানটি। দাবি করা হয়, বিমানের মধ্যে রাখা রয়েছে একটি পাইপ বোমা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় উদবেগ ছড়ায়। যদিও বিমানে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। ঘটনার জেরে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।
এদিকে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, মঙ্গলবার স্রেফ এয়ার ইন্ডিয়ার ৩৬টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। একইভাবে ইন্ডিগোর ৩৫ এবং ভিস্তারার ৩২টি বিমানে সতর্কতামূলক বার্তা এসেছে। সব ক্ষেত্রেই বার্তাগুলি ছিল ভুয়ো। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেই হচ্ছে। ফলে বিমান চলাচল প্রভাবিত হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। এই নিয়ে গত ১৬ দিনে ৫১০ বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়।
ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, বোমাতঙ্ক ছড়ানোর চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু একাধিক বৈঠক, সিদ্ধান্তের পরও তা কমার কোনও লক্ষণ নেই। কয়েকদিন ধরে সরকার এ ধরনের উড়ো খবর ছড়ানো ব্যক্তিদের নো ফ্লাই তালিকাভুক্ত করবে বলে ঠিক করেছে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, এইসব বোমাতঙ্কের অধিকাংশই সোশাল মিডিয়া ‘এক্স’ মারফত আসছে। যে ‘এক্স’ হ্যান্ডলগুলি থেকে এই হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে সেগুলি চিহ্নিত করতে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি), ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সার্ট-ইন) একযোগে কাজ করছে।
সূত্রের খবর, বোমাতঙ্ক ছড়াতে যে ভুয়ো ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলির নেপথ্যে ভিপিএন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করেই হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে। আর সে কারণেই ওই বার্তা প্রেরকদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। যে আইপি অ্যাড্রেসগুলি ব্যবহার করে বোমার হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব হুমকির ৭০-৮০ শতাংশ আসছে ভারতের বাইরে থেকে। বেশির ভাগ হুমকিদাতার আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল অনুযায়ী অবস্থান জার্মানি, ব্রিটেন, জার্মানি, কানাডা ও আমেরিকা। তবে দেশের ভিতর থেকেও হুমকি আসছে।