সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিব সেনার মতোই এবার দলের নাম ও প্রতীক পাওয়ার লড়াই শুরু এনসিপিতেও। একদিকে শরদ পওয়ার (Sharad Pawar) শিবির, অন্যদিকে অজিত পওয়ার (Ajit Pawar) শিবির। এই দুই শিবিরের মধ্যে দড়ি টানাটানি। বুধবারই বৈঠক ডেকেছে দুই শিবির। আপাতত এটাই দেখার, কোন বৈঠকে কতজন বিধায়ক থাকেন। কার্যত এতেই শক্তি পরীক্ষা হয়ে যাবে। বোঝা যাবে কাদের পাল্লা ভারী। অজিত শিবিরের দাবি, ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে তাঁদের তরফে ৪০ জন বিধায়কই থাকবেন।
শরদ পাওয়ার ইতিমধ্যেই একটি ক্যাভিয়েট ফাইল করেছেন নির্বাচন কমিশনে। দলের নাম ও প্রতীক নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁদের কথা যেন শোনা হয়, এই দাবি করেছেন অশীতিপর রাজনীতিক। এদিকে বুধবারই নির্বাচনে কমিশনে যেতে পারে অজিত পওয়ার শিবিরও। এই পরিস্থিতিতে নজর দুই শিবিরের বৈঠকের দিকে। তাহলেই এই ‘মহানাটকে’র শেষপর্বে কারা জয় পেল তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শেষপর্যন্ত মারাঠা স্ট্রংম্যান জিতবেন নাকি তাঁর ভাইপো সেদিকেই আপাতত নজর ওয়াকিবহাল মহলের।
[আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করবে রাজ্য পুলিশের অধীনে’, ‘নিয়ম’ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
সম্প্রতি ৮ জন বিধায়ককে নিয়ে দল ছেড়ে বেরিয়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছেন অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এনসিপি-তে থেকেই এনডিএ সরকারকে সমর্থন করছেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “মানুষের স্বার্থে, মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এনসিপি পার্টি হিসেবেই এই সরকারকে সমর্থন করছি।” এদিকে অজিত পওয়ার-সহ দলের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবীণ শরদ পওয়ারও। মহারাষ্ট্রে শিব সেনার ভাঙনের পর একই পথে চলেছে এনসিপি। শেষ পর্যন্ত কোন শিবির জয়ী হবে, তা হয়তো পরিষ্কার হয়ে যাবে বুধবারই।