সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও রাজ্যে ভোট নিয়ে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের দুই জোট শিবির–বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে থাকা শিবসেনা (শিণ্ডে) এনসিপি (অজিত)-র মহাযুতি জোট এবং অন্যদিকে, শিবসেনা (উদ্ধব), এনসিপি (শরদ) ও কংগ্রেসের মহা বিকাশ আঘাড়ি প্রার্থীতালিকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং এনসিপি (অজিত)-এর সভাপতি অজিত পাওয়ার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর দল আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ৬০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। প্রসঙ্গত, বিজেপির এক নেতা শুক্রবার এনসিপির অনড় অবস্থান প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে জোর করে আসন নেওয়ার পর জিততে না পারলে তার ফল খারাপ হবে। এর পরেই অজিতের এই মন্তব্য।
[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় দৌড়তে গিয়ে মৃত ৮! কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেনের সরকার]
এদিন নাগপুরে দলের এক সভায় অজিত পাওয়ার বলেন, “আমরা ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৫৪টি আসন জিতেছিলাম। এবার আমাদের সঙ্গে তিনজন কংগ্রেস বিধায়ক এবং তিনজন নির্দল রয়েছে। অতএব, আমরা অন্তত ৬০টি আসন চাইব।” আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী সংখ্যা নিয়ে এই প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অজিত পাওয়ার। তিনি বলেন যে, তিন কংগ্রেস বিধায়ক সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এনসিপির এমএলসি-কে ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা দলে যোগ দেবেন। এছাড়া তিনজন নির্দল আমাদের সঙ্গে আছেন। আমাদের শক্তি ৬০-এ পৌঁছেছে। আরও দুজন বিধায়ক আমাদের সমর্থন করবেন।”
অজিত পরে সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনী রেকর্ড নির্ধারণ করবে কাকে কোন নির্দিষ্ট আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এদিকে, বিজেপি নেতা সুধীর মুনগান্টিওয়ার শুক্রবার একটি মারাঠি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “মহাযুতিতে যদি একটি দল জোর করে নির্দিষ্ট আসন নেয় এবং তারপরে হারে, তবে আমাদের ক্ষতি করবে। আর তাই কোন দল কোন আসন পাবে তার সিদ্ধান্ত হবে নির্বাচনী যোগ্যতার ভিত্তিতে। তিন দলের নেতারা ছাড়াও আমাদের অন্যান্য জোটের নেতারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”