shono
Advertisement

শাহী মসজিদেই হনুমান চালিসা পাঠের হুঙ্কার হিন্দু মহাসভার! উত্তেজনা মথুরায়

হাজার দেড়েক নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন রয়েছে মসদিজ চত্বরে।
Posted: 04:10 PM Dec 06, 2022Updated: 04:10 PM Dec 06, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি মঙ্গলবার। আর সেদিনই মথুরার (Mathura) ইদগাহ মসজিদে হনুমান চালিসা পাঠের ডাক দিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা (Akhil Bharat Hindu Mahasabha)। এই ঘোষণার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জেলা পুলিশের প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের কোনও ধর্মীয় আচরণের অনুমতি দেওয়া হবে না।

Advertisement

এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে পুলিশে। পুলিশ, সশস্ত্র কনস্টেবল ও আধা সেনাকর্মী মিলিয়ে প্রায় হাজার দেড়েক নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন রয়েছে মসদিজ চত্বরে। এলাকায় যান চলাচলেও কড়াকড়ি করা হয়েছে। কেবল মাত্র স্কুলের গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্সকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিকে হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক দাবি করেছেন, তাঁরা মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করবেন। বাধা দেওয়া হলে সেখানেই বসে হনুমান চালিসা পাঠ করবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত বছরও তারা এমন দাবি করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের তৎপরতায় তা কার্যকর করা যায়নি।

[আরও পড়ুন: OMR শিটে শূন্য, SSC’র তালিকায় ৫৩! ‘ভূতের কাজ নয়’, কড়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]

‘বাবরি তো ঝাকি হ্যায়, মথুরা কাশী বাকি হ্যায়।’ নয়ের দশকে করসেবকদের এই হুঙ্কার ভোলার নয়। মথুরা ও কাশী নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের নানা দাবি এর আগেও শোনা গিয়েছে। ‘অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদ’কে বলতে শোনা গিয়েছিল, রাম মন্দিরের নির্মাণ শেষ হলে মথুরা ও কাশীর মন্দিরগুলিকে ‘মুক্ত’ করা হবে। সেই বিতর্কের আবহ এখনও একই রকম রয়েছে।

আধ্যাত্মিক শহর মথুরাকে ঘিরে হিন্দুদের বিশ্বাস, ওই জায়গাটি শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। সেই মন্দির চত্বরেই রয়েছে শাহি ঈদগাহ মসজিদ। ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, প্রাচীন কেশবনাথ মন্দির ভেঙেই মসজিদটি তৈরি করেন ঔরঙ্গজেব। ১৯৩৫ সালে ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। পর্যায়ক্রমে সেই সত্ব বর্তায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ শ্রী কৃষ্ণভূমি ট্রাস্টের হাতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় সংঘাত। অবশেষে ১৯৬৮ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে জমির মালিকানা হিন্দুদের হাতে থাকলেও মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার পায় মুসলিম পক্ষ।

[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক মৃত্যু! দু’বার হাঁচার পরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন যুবক, ভিডিও দেখে আতঙ্কিত নেটিজেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement