সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি গুজরাটে। আহমেদাবাদের কবরস্থান ও শ্মশানে ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে করোনায় মৃতদের শেষকৃত্য করতে আসা পরিজনের ব্যবহার করা পিপিই, ফেসশিল্ড, মাস্ক এমনকী, হ্যান্ড গ্লভস। এর থেকে একদিকে যেমন সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাথেকেই যাচ্ছে। তেমনই আবার পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর এই গোটা অব্যবস্থার জন্য অভিযোগের আঙুল উঠছে আমেদাবাদ পুরসভার দিকে।আবার বহু পরিজনকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
করোনার দাপটে ধুঁকছে আমেদেবাদ। ইতিমধ্যে প্রায় ছয় হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে চারশোরও বেশি মানুষের। ফলে গুজরাট প্রশাসনের মাথাব্যথা বেড়েছে। এদিকে করোনায় মৃতদের শেষকৃত্যের পর মৃতের পরিজনরা কবরস্থান ও শ্মশানে
পিপিই কিট-সহ একাধিক পণ্য ফেলে চলে যাচ্ছেন। আমেদাবাদের মুসা সুহাগ কবরস্থান ও দুধেশ্বর শ্মশানের অব্যবস্থার ছবি সামনে আসেছে। চারিদিকে ছড়িয়ে পিপিই কিট। কুকুরে মুখে নিয়ে সেগুলি টানাটানি করছে।
[আরও পড়ুন : ৪০ দিন পর কাজ শুরু, খুশির হওয়া মানেসরে মারুতির গাড়ি কারখানায়]
মুসা সুহাগ কবরস্থান সংলগ্ন হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা অলকেশ ত্রিবেদির কথায়, “করোনায় মৃতদের দেহ নিয়ে আসে আমেদাবাদ পুরসভার কর্মীরা। শেষকৃত্য করতে আসা পরিজনদের পিপিই কিট দেওয়া হয়। এখন কবরস্থানের চারপাশে প্রায় ১৬টি পিপিই কিট ছড়িয়ে রয়েছে। সাফাইকর্মীরা সেই কিট নিয়ে যেতে চাইছেন না। তাঁরা সংক্রমণের ভয় পাচ্ছে। এদিকে কুকুর সেই কিট টেনে বাড়ির সামনে নিয়ে আসছে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। অনেকে আবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা্ করছে। একই পরিস্থিতি
দুধেশ্বর শ্মশানেরও। যদিও কবরস্থানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলি বলেন, “আমি চেষ্টা করছি এগুলো সরানোর। কিন্ত একার পক্ষে সম্ভব হবে না।” কিন্তু পুরসভার কর্মীরা কেন এই পিপিই কিট সরাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন : মাঝরাস্তায় সন্তানের জন্ম, ঘণ্টাদুয়েক বিশ্রামের পর ১৫০ কিমি হাঁটলেন পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী]
The post কবরস্থানে ছড়িয়ে ব্যবহার করা পিপিই কিট, আমেদাবাদে সংক্রমণের আশঙ্কা তুঙ্গে appeared first on Sangbad Pratidin.