সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশ টাকার যত কয়েন বাজারে চলছে, তার সবই আসল এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে আইনত বৈধ। দশ টাকার এই কয়েনগুলি কেউ নিতে বা লেনদেন করতে অস্বীকার করলে তিনি ভারতীয় দণ্ডবিধির কড়া সাজার মুখে পড়বেন। বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হল।
[খুচরো নিয়ে সমস্যা, কয়েন তৈরি বন্ধ করল ট্যাঁকশালগুলি]
সম্প্রতি দশ টাকার কয়েন নিয়ে বাজারে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ আসছে যে, দশ টাকার কয়েন নিতে চাইছেন না অনেক ক্রেতা-বিক্রেতাই। এই বিভ্রান্তি দূর করতেই এদিন বিবৃতি দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বেশ কিছুদিন ধরে গুজব রটেছে, ‘বাজার চলতি অধিকাংশ ১০ টাকার কয়েন জাল’। ফলে এই কয়েন নিতে অস্বীকার করছেন অনেক ক্রেতা-বিক্রেতাই। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এদিন দশ টাকার সমস্ত কয়েন বৈধ বলে জানিয়ে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সাফ জানিয়েছে যে ১০ টাকার সব কয়েনই সরকারি টাঁকশাল থেকে বেরিয়েছে। বর্তমানে ১৪ রকমের দশ টাকার কয়েন বাজারে চলছে। এই ১৪ রকমের ১০ টাকার কয়েনই পুরোপুরি বৈধ বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
[জানেন কি, ১ টাকার ছোট কয়েন না নিলে হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড?]
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় সংস্থা সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (SPMCIL)-এর কলকাতা, মুম্বই, নয়ডা ও হায়দরাবাদের চারটি টাঁকশালেই শুরু হয়েছে কয়েন উৎপাদন। এক, দুই, পাঁচ ও দশ টাকার কয়েন তৈরির কাজ চলছে স্বাভাবিক গতিতে। অবশ্য এখনই দ্রুতগতিতে নয়, খানিকটা ঢিমেতালেই চলছে কয়েন তৈরির কাজ। কাজ হচ্ছে একটি শিফটে। সাধারণত এই টাঁকশালগুলিতে দুই শিফটে কাজ হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ক্যালকাটা মিন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজন দে জানান, কয়েন উৎপাদনের কাজ ফের শুরু হয়েছে। কিন্তু ঘটনা হল, খোলা বাজারে কয়েনের চাহিদা কমছে। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা খুচরোয় অনীহা সকলের৷ ব্যাঙ্কের থেকেও খুচরো ফেরানোর অভিযোগ এসেছে৷ এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ঘোষণা সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।
The post ১০ টাকার কয়েন লেনদেনে অস্বীকার করলে পড়তে হবে কড়া সাজার মুখে appeared first on Sangbad Pratidin.