কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: 'বাংলাদেশি' তকমা দিয়ে অত্যাচার, মারধরের মতো ঘটনার রেশ কাটিয়ে ওড়িশা থেকে বাংলায় ফিরে এলেন ৩৫ জন শ্রমিক। সোমবার তাঁরা ফিরেছেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় নিজেদের গ্রামে। অভিযোগ, ভারতের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের 'বাংলাদেশি' বলে মারধর করে ওড়িশা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৈধ আধার কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ওড়িশায় কাজ করতে পারছেন না। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়ার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এমনই হেনস্তার শিকার হয়ে অবশেষে নিজেদের গ্রামে ফিরে এসেছেন।
সোমবার দুপুরে হরিহরপাড়ার শাহজাদপুর, মালোপাড়া, পদ্মনাভপুর এবং রুকুনপুরের ৩৫ জন ফেরিওয়ালা ওড়িশা থেকে বাধ্য হয়ে দেশের বাড়ি ফিরলেন। তাঁদের অভিযোগ, এই রাজ্যের লোকজনকে দেখলে এবং বাংলা বললেই তাঁদের 'বাংলাদেশি' (Bangladeshi) বলে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই মারধরের ঘটনা সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ছড়িয়ে পড়েছে। এই খবর পাওয়ার পর পদক্ষেপ নেয় নবান্নও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝির সঙ্গে ফোনে এনিয়ে কথাও বলেন। বাংলার শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলেন। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ লাভ হয়নি, হরিহরপাড়ার শ্রমিকদের ফিরে আসাই তার প্রমাণ।
[আরও পড়ুন: সাতদিন নয়, চারদিন বসবে দোকান! সোনাঝুরির হাট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত বনদপ্তরের]
হরিহরপাড়ার এক শ্রমিক বাসারউদ্দিন শেখ। তিনি ওড়িশার বেরহমপুরে ছিলেন। গত ১৫-১৬ বছর ধরে তিনি ওড়িশার (Odisha) বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে জামাকাপড়-সহ প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ফেরি করে বেড়ান। অন্যান্য ফেরিওয়ালার মতো তাঁকে 'বাংলাদেশি' তকমা দিয়ে মারধর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন। আধার কার্ড দেখালেও তা 'অবৈধ' বলা হয়েছে সেই রাজ্যে। এসব কারণে বাসারউদ্দিন প্রাণভয়ে নিজের গ্রামে ফিরে এসেছেন। এই ঘটনার পর এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labourers) নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠে গেল।