সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যে বন্ধ থাকা সব রেলপথ চালু করা হবে। দু’দেশের মধ্যে অবস্থিত সবকটি স্থলবন্দর দিয়ে শীঘ্রই রেলপথ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এমনই জানিয়েছেন সে দেশে নিযুক্ত রাজশাহির (Rajshahi) ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার। তিনি বলেন, ”আশা করছি ওই যোগাযোগ মাধ্যমগুলো চালু হলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বুড়িমারী-সহ সব স্থলবন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে।”
শনিবার উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শন করতে যান মনোজ কুমার। এর আগে বুড়িমারী ও ভারতের (India) কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার। তিনি জানান, দীর্ঘদিন থেকেই ভারত-বাংলাদেশের কয়েকটি রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও অনেক স্থলবন্দর পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেগুলো কীভাবে আবারও চালু করা যায়, তা ভাবা হচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী-সহ উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরাও এ নিয়ে কথা বলেছেন। বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের আয়োজনে স্থানীয় স্থলবন্দর হলরুমে গ্রুপের সভাপতি রুহুল আমিন বাবুলের সভাপতিত্বে বন্দর চত্বরে গিয়ে মনোজ কুমার সেখানকার শুল্ক আধিকারিক-কর্মচারী, অভিবাসন, পুলিশ আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। বন্দরের ব্যবসায়ীরা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
[আরও পডুন: ৭-১৩ মে’র Horoscope: সুখবর পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা, কী রয়েছে আপনার ভাগ্যে?]
এই সভায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভিসা পেতে দেরি, উভয় দেশে চোরাচালান ও স্বচ্ছ ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে স্ক্যানার মেশিন বসানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ি প্রবেশ না করানো, ভারতে যাত্রী হয়রানি বন্ধ এবং দ্রুত পাসপোর্ট যাত্রীদের সেবা প্রদান, রেলপথ যোগাযোগ উন্নয়ন, মাল্টিপল ভিসা দ্রুত প্রদান-সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা হয়। ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার সবটা শুনে যথাযথভাবে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
[আরও পডুন: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে স্বস্তি, আগামী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের সাত জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা]
পরে তিনি বুড়িমারী জিরো পয়েন্ট পরিদর্শন করেন এবং ভারতীয় কোচবিহার (Cooch Behar) চ্যাংড়াবান্ধা শুল্ক আধিকারিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। এছাড়াও ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার পাটগ্রাম উপজেলার পাটেশ্বরী মন্দির, বাউরা পুনম চাঁদ ভুতোরিয়া কলেজ ও বাউরা মহাশ্মশান পরিদর্শন করেন।