সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর মুখে বাংলায় নিজেদের হারানো অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারে মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) হাতিয়ার করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরছেন, পুজো উদ্বোধন করছেন মহাগুরু। এরই মাঝে চুঁচুড়া থেকে ফের মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করলেন, বহু তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) নাকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যদিও মিঠুনকে ছাপিয়ে গিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, “মিঠুনদার কাছে যদি ২১ জনের নাম থাকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ৪১ জনের কম নাম থাকবে না।”
বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। মঙ্গলবার চুঁচড়া স্টেশন সংলগ্ন বিদ্যাভবনে প্রাকপুজো সম্মেলনে দলীয় কর্মীদের বৈঠকে যোগ দেন তিনি। ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই ফের মিঠুন বলেন, “২১ জন নয়, আমি ৩৮ জন বিধায়কের কথা বলেছি। অনেক বিধায়ক আছেন যাঁরা সরাসরি দিল্লিতে যোগাযোগ রাখছেন।” এরপরই তিনি বলেন, তৃণমূলের সকলে চোর নয়। যাঁরা ভাল তাঁদের একটা অংশ যোগাযোগ রাখছেন।
[আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাস পেয়েও ধর্মঘটে অনড় SBSTC’র অস্থায়ী কর্মীরা, আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর]
যদিও বিজেপির সঙ্গে যে সকল তৃণমূল বিধায়করা যোগাযোগ রাখছেন, তাঁদের সঙ্গে আর্থিক কোনও লেনদেনের কথা হয়নি বলেই দাবি করেন মিঠুন। তাঁর যুক্তি, কেনাবেচা নয়, তৃণমূলে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেকেরই। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলীদের দলে নিতে চাইছে না বলেই দাবি করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে তাঁর দাবি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের বুঝিয়েছেন যে, সকল তৃণমূলনেতাই দুর্নীতি পরায়ণ নন।
যদিও মিঠুন চক্রবর্তী আগেও দাবি করেছিলেন, বহু তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, বিষয়টা তাঁর জানা নেই। তবে এদিন মিঠুন চক্রবর্তীকে ছাপিয়ে গিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “মিঠুনদার কাছে যদি ২১ জনের নাম থাকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ৪১ জনের কম নাম থাকবে না।” এবিষয়ে মিঠুনকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘মিঠুন চক্রবর্তী অনেক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। সে সব থেকে বাঁচতে উনি বিজেপিতে গিয়েছেন। আমি ওঁকে জোয়ানের হজমি গুলি পাঠিয়ে দেব।’’