সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: জেলা পরিষদের অধীনে সরকারি পুকুর। তবে অভিযোগ সেই পুকুর সংস্কারের অনুমতি দিয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতি। অভিযোগ সংস্কারের নামে চলছে দেদার মাটি পাচার। শুধু মাটি পাচার (soil smuggling) নয় পুকুর ধারের গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ফুলিয়া কৃষি পল্লী এলাকার ঘটনা।
এই এলাকার পঞ্চায়েত রয়েছে শাসক দল তৃণমূলের (TMC) দখলে। তবে পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির। প্রশ্ন উঠছে জেলা পরিষদের অধীনে থাকা পুকুরটি সংস্কারের অনুমতি কী করে পঞ্চায়েত সমিতি দিতে পারে। যদিও এ বিষয়ে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মণ্ডলের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন করা হলে তিনি ফোনের সুইচ অফ করে দেন।
[আরও পড়ুন: পদ্মের গোষ্ঠীকোন্দলই ‘অস্ত্র’ তৃণমূলের! ‘আদি বিজেপি কর্মীরাই দেবাংশুকে ভোট দেবেন’, দাবি কুণালের]
তবে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী জানান, "যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই নিন্দনীয়। তার উপযুক্ত তদন্ত প্রশাসন করবে।" বিজেপি কর্মী যুক্ত থাকার বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, বিজেপি এরকম নোংরা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেনা। তবে যদি কোনও বিজেপি কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং তদন্তে তা সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
[আরও পড়ুন: অশান্তি কেড়েছে সন্তান, যন্ত্রণা বুকে চেপে ইদে সম্প্রীতির বার্তা আসানসোলের সেই ইমামের]
এ বিষয়ে স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূলের পম্পা মুখোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনা তাঁর জানা নেই। তবে এই ঘটনা ঘটে থাকলে তা আইন বহির্ভূত কাজ বলে প্রশাসনের উপর আস্থা রাখছেন তিনি। তবে যে বা যাঁরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে জেলা পরিষদ বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় মানুষজনও।
এ বিষয়ে শান্তিপুরের (Santipur) বিএলআরও -এর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"মাটিকাটা বন্ধ হয়ে গেছে। গাছ কাটার বিষয়ে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট বলতে পারবে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।