অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে উড়ল টালির চালা। বাগানে ছিটকে পরল সকেটের স্প্রিন্টার। সোমবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের নজরানা গ্রামের নবীরপাড়া সরকার পাড়ায়। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণে অন্তত দুজন জখম হয়েছে। যাদের গোপন জায়গায় চিকিৎসা চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য় মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এদিন সকালেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মফিজুল মোল্লার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছিল,তার মধ্যেই ওই ঘটনাটি ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ এলাকায় আসে ও চারিদিকে তল্লাশি শুরু করে। সেখান থেকে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, হতাহতের কোনও খবর নেই। যদিও স্থানীয়দের দাবি অন্যরকম। পাশাপাশি, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানকার দুই সদস্য পলাতক বলেও খবর।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পঞ্চায়েতের সমস্ত প্রার্থীপদ প্রত্যাহার! নওশাদের মন্তব্যে জল্পনা]
কংগ্রেসের হাসিবুর রহমান মাজরুল ইসলাম মণ্ডলের অভিযোগ, “নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য শাসকদলের লোকজন বোমা বাঁধছিল তখন ফেটে গিয়ে ওই ঘটনা ঘটেছে।” তাঁদের দাবি,ঘটনায় অন্তত দুজন জখম আছে। যদিও মফিজুলের বাড়ির লীলাবিবি নামে এক গৃহবধূ জানান “তখন আমরা বাগানে ছিলাম হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। মনে হল, কেউ ওই বোমা ছুঁড়ে পাটের জমির মধ্য দিয়ে পালিয়ে গেল। বিকট শব্দে আমরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি ।”
তবে বাড়ির পুরুষ সদস্য মফিজুল ইসলাম ও তাঁর বাবা নবি মোল্লা কোথায় আছে, সে কথা তিনি বলতে পারেননি। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকেই মফিজুল ও তার পিতা নবি মোল্লা পলাতক। অন্য এক যুবক তাজিমুদ্দিন শেখ জানান, “সেই সময় এলাকায় পুলিশের গাড়ি ছিল। আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তার মধ্যেই ওই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।” এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রানিনগর ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শাহ আলম সরকার অবশ্যই জানান, “এলাকায় ঠিক কী ঘটেছে জানি না। খবর নিয়ে জানতে হবে।”