সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মূর্তি রাজনীতি, স্লোগান রাজনীতি – বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে আরও বেশি করে সামনে আসছে এসব। কখনও বড় থেকে বৃহত্তর মূর্তি বসানোর তোড়জোড় রাজনৈতিক দলগুলির তো কখনও ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে রাজনৈতিক স্লোগান নিয়ে বিতর্ক। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে অমিত শাহর (Amit Shah)সফর ঘিরে ফের এই দুই ইস্যুই উসকে উঠল। কোচবিহারের রাসমেলার ময়দান থেকে তিনি তুললেন গগনভেদী ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। বললেন, ”এত জোরে ধ্বনি তুলুন সবাই।” এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, ”সবাই রামনাম উচ্চারণ করে গর্ববোধ করেন। কিন্তু মমতাজির তাতে আপত্তি। কারণ, উনি তোষণের রাজনীতি করেন। তবে ভোট শেষ হতে হতে আপনিও জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলবেন।”
কোচবিহারে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মন পেতে এদিন আরও বড় ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, রাজবংশী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি হবে পঞ্চানন বর্মার মূর্তি। তার জন্য ২৫০ কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, পঞ্চানন বর্মাকে সম্মান দিয়ে এর আগে কোচবিহার থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন, এবার থেকে পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে রাজ্য সরকার ছুটি দেবে। এবার ২৫০ কোটি টাকায় মূর্তি তৈরির ঘোষণা করে তারই পালটা দিলেন শাহ, বিষয়টিকে এভাবে দেখছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশই।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরপ্রদেশে পুলিশ, সাংবাদিকও নিরাপদ নন, বাংলা অনেক ভাল’, মন্তব্য মমতার]
রাসমেলার মাঠ থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করতে এসে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি বিতর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া বার্তা দিলেন অমিত শাহ। তাঁর মতে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে তোষণের রাজনীতির করার কারণেই রামনাম পছন্দ করেন না। কিন্তু ভোটের পরও উনিও একই স্লোগান তুলবেন, এই চ্যালেঞ্জও ছুঁড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: বঙ্গ থেকে শীতের বিদায় আসন্ন, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে একধাক্কায় বাড়ল তাপমাত্রা]
বঙ্গ সফরে এলেই ইদানিং দিল্লির বিজেপি নেতারা ‘পিসি-ভাইপো’ জুটিকে আক্রমণ না করে ছাড়েন না। এদিন অমিত শাহও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। ঝাঁজালো সুরে তাঁর বক্তব্য, মোদি সরকার জনতার জন্য কাজ করে আর মমতা সরকার কাজ করে ‘ভাইপো’র জন্য। এদিন কোচবিহার থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ শুরুর আগে এর তাৎপর্য বোঝালেন অমিত শাহ। সভা সেরে তিনি কোচবিহারের বিখ্যাত মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন। তারপর সোজা চলে যাবেন উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে, মতুয়াদের জনসভায়। সেখানে নাগরিকত্ব ইস্যুতে কী বার্তা দেন, সেদিকেই নজর সবমহলের।