রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত। কলকাতা হাই কোর্ট পরবর্তী রায় না আসা পর্যন্ত এটা স্থির যে আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট। তার আগে রাজ্যে আসার কথা ছিল জে পি নাড্ডা, অমিত শাহের মতো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তবে করোনা কাঁটায় বাদ সমস্ত পরিকল্পনা। নাড্ডার পর বঙ্গ সফর বাতিল করলেন অমিত শাহও।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই আসতে পারেন বলেই শোনা গিয়েছিল। তবে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফই বাদ সাধল। তাই বঙ্গ সফর আপাতত বাতিল করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই রাজ্য বিজেপির তরফে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হবে সকলকে।
[আরও পড়ুন: সন্তানের অমঙ্গলের ভয় দেখিয়ে বধূর খোলামেলা ছবি আদায় জ্যোতিষীর, তারপর…]
এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারও বঙ্গ সফর বাতিল হয়ে যায়। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী রবি এবং সোমবার বাংলায় আসার কথা ছিল নাড্ডার। বেশ কয়েকটি ঘরোয়া বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত হয় বিজেপি। তাই স্বাভাবিকভাবেই মনোবল কিছুটা ভেঙে গিয়েছে দলীয় নেতা-কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে চার পুরনিগমে ভোট হলে তার ফলও ভাল হবে না বলেই গেরুয়া শিবির মনে করছে। তাই তার আগে ভোকাল টনিক দিতেই দুই কেন্দ্রীয় নেতৃ্ত্বের বাংলায় আসার কথা ছিল। তবে দু’জনই না আসতে পারায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ বঙ্গ বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোট পিছনোর দাবিতে সরব বিরোধীরা। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচন বন্ধ রাখা উচিত বলেই মত ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। পুরভোট পিছোনোর দাবিতে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অবস্থান জানিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী সোমবার জমা দিতে হবে হলফনামা। মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি। ভোট আদৌ পিছোয় কিনা, জানা যেতে পারে সেদিনই।