সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামা কাণ্ড, মোদি সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর পর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক যেন মোদি (Narendra Modi) সরকারের ‘টার্গেট’ হয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে এসেছে দিল্লি পুলিশ। আবার শনিবার তাঁকে দিল্লির একটি থানাতেও দেখা গিয়েছে। এবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সত্যপালকে নিশানা করলেন। শাহর প্রশ্ন, “এসব যদি সত্যিই হবে, তাহলে যতদিন কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন, ততদিন বলেননি কেন?”
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পুলওয়ামা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন সেনা জওয়ান। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)। ৪ বছর পরেও টাটকা পুলওয়ামা হামলার দগদগে স্মৃতি। ভারতের ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস এই জঙ্গি হামলার নেপথ্যে প্রশাসনের ভূমিকা আজও প্রশ্নাতীত নয়। এই ঘটনার সময় কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন মালিক (Satyapal Malik)। সেসময় প্রশাসনের অন্দরে কী হয়েছে, না হয়েছে সবটাই তাঁর জানা। সেই সত্যপাল বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে বলে দিয়েছেন,”পুলওয়ামার সেই ঘটনার জন্য পদে পদে সরকারের ব্যর্থতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অপরিপক্কতা দায়ী।” কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের দাবি,”পুলওয়ামার হামলার আগে জওয়ানদের আকাশপথে নিয়ে যাওয়ার আরজি জানিয়েছিল সিআরপিএফ। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই অনুমতি দেয়নি। শুধু তাই নয়, যে রাস্তায় জওয়ানরা যাচ্ছিলেন, সেই রাস্তার নিরাপত্তাও সঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি। সবটাই হয়েছে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য।”
[আরও পড়ুন: যৌনতা আর গোপনীয়তায় ভরা মুঘল হারেম, কেমন ছিল সেই বন্দিনীদের জীবন?]
অর্থাৎ সরাসরি অমিত শাহর মন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সত্যপাল। শাহ সে সময় মন্ত্রী না থাকলেও তাঁর মন্ত্রক নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পালটা দিতে ছাড়েননি। মালিককে তাঁর পালটা প্রশ্ন, এসব তথ্য সত্যি হলে আগে মুখ খোলেননি কেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন,”ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আপনার বিবেকজাগ্রত হল কেন? এইসব মন্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা সাধারণ মানুষেরই দেখা উচিত। এসব জনসমক্ষে আলোচনা করার বিষয় নয়। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, বিজেপি সরকার এমন কিছুই করেনি। যেটা লুকনোর দরকার পড়বে। কেউ যদি ব্যক্তিগত স্বার্থে এসব মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে সেটা মানুষের ভেবে দেখা উচিত।”
[আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা দিয়ে মুরগির দোকানের আবর্জনা পরিষ্কার, ভাইরাল ভিডিও, গ্রেপ্তার যুবক]
শুধু শাহ নন, মোদি মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য পীযুষ গোয়েলও সত্যপালকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তাঁর কথায়, “কিছু মানুষ দেশের উন্নতিতে ক্রমাগত বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরা সবসময় খারাপ ভাবে, আর দেশের উন্নতিতে বাধা দিতে থাকে। এদের নিন্দা করা উচিত।”