জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোলের গুরুত্ব সর্বদাই বিশেষ। বনগাঁর এই সীমান্ত দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার যাত্রী পারাপার করেন, দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের স্বার্থেও যাতায়াত করেন কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক। যাত্রীদের একাধিক সমস্যা দূর করতে এবং সীমান্ত বাণিজ্যে আরও গতি আনতে কয়েক বছর আগে কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের যাত্রী টার্মিনাল ও আন্তর্জাতিক মানের 'মৈত্রী দ্বারে'র শিলান্যাস হয়েছিল| রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হাত ধরে খুলে যাবে সেই টার্মিনাল। আর তার পর সীমান্ত বাণিজ্যে আরও গতি আসবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
সূচি অনুযায়ী, শনিবার রাতেই কলকাতা চলে আসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রবিবার সকালে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে প্রথমে যাবেন উত্তর ২৪ পরগনার কালিয়ানি ক্যাম্পে আসবেন। সেখান থেকে গাড়িতে তিনি পেট্রাপোল বন্দরে পৌঁছবেন ১১টা ১৫ নাগাদ। এক ঘন্টা সেখানে থাকবেন। তাঁর হাত ধরেই খুলে যাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টার্মিনাল 'মৈত্রী দ্বার'। তার পর কলকাতায় ফিরে যাবেন| সেখানে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে অমিত শাহর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে পেট্রাপোল বন্দরে এখন সাজো সাজো রব। শনিবার সকাল থেকে সেখানে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রচুর পুলিশ ও বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। পেট্রাপোল বন্দরে আধুনিক 'মৈত্রী দ্বার' ও আধুনিক যাত্রী টার্মিনাল চালু হওয়ার খবরে খুশি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ যাত্রী - সকলেই। তাঁদের বক্তব্য, আমদানি-রপ্তানিতে অনেক সময় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরও দীর্ঘ সময় ধরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ঝড়বৃষ্টি হলে আরও বেশি সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা| অত্যাধুনিক এই টার্মিনাল চালু হলে সকলেই উপকৃত হবে।