সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশা জাগাচ্ছে নাসার (NASA) পারমাণবিক ঘড়ি (Atomic clock)। পরীক্ষার প্রথম ধাপ পেরিয়েছে এই যন্ত্র। আর তা উসকে দিচ্ছে সৌরজগতের বাইরে মহাকাশের দূরতম কোণে ভ্রমণের সম্ভাবনাকে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA ২০১৯ সালের জুনে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার সময় তার ভিতরে রেখে দিয়েছিল একটি ‘ডিপ স্পেস অ্যাটমিক ক্লক’। দেখা গিয়েছে পৃথিবীকে চক্কর কাটার সময় মহাকাশে রাখা অন্যান্য ঘড়ির থেকে অনেক বেশি নিখুঁত সময় দেখাচ্ছে এই ঘড়ি (Atomic clock)। অর্থাৎ পরীক্ষার প্রথম ধাপে দারুণ ভাবে সফল এটি। আর এখান থেকেই স্বপ্ন দেখার শুরু বিজ্ঞানীদের।
বিভিন্ন জিপিএস স্যাটেলাইটে যে সব ঘড়ি রাখা থাকে তাদের থেকে অন্তত ১০ গুণ নিখুঁত এই পারমাণবিক ঘড়ি। ফলে আগামিদিনে বহু দূরে ভ্রমণকালে দিশা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে জরুরি এক উপকরণ হতে চলেছে এই ঘড়ি। বিশ্বখ্যাত ‘নেচার’ পত্রিকায় গত ৩০ জুন প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্র।
ভবিষ্যতে মহাকাশযানে টোস্টারের আকারের ‘ডিপ স্পেস অ্যাটমিক ক্লক’ রাখা থাকলে তা অনায়াসেই হিসেব কষে ফেলতে পারবে পৃথিবী থেকে সেই মহাকাশযানে কতক্ষণে একটি সিগন্যাল এসে পৌঁছচ্ছে। যার মাধ্যমে সে মহাকাশে নিজের সঠিক অবস্থানটি নির্ণয় করে ফেলতে পারবে। ফলে ‘ডিপ স্পেস’ অর্থে মহাকাশের সুদূর কোণে ভ্রমণ করতে গেলে স্বচালিত মহাকাশযানের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে এই ঘড়ি।
[আরও পড়ুন: খাবারের সঙ্গে পেটে চলে গেল ধাতব বস্তু! যন্ত্রণায় কাতর ষাঁড়কে নিয়ে শোরগোল ধুপগুড়িতে]
তবে এখনই এবিষয়ে খুব বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। প্রয়োজন বহু পরীক্ষার। সত্যিই ডিপ স্পেসে এটি কতটা নিখুঁত ভাবে সময় দিতে পারে তা জানতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে। তবে সত্যিই এটা করতে পারলে এর মাধ্যমে মহাকাশ অভিযানের দিশা খুলে যেতেই পারে।
বহু বিজ্ঞানীই মনে করেন ডিপ স্পেসে সঠিক ভাবে ভ্রমণ করতে পারলে মহাকাশের রহস্য বুঝতে তা আরও বেশি সাহায্য করবে। পারমাণবিক ঘড়ির সাহায্যে জিপিএস চালিত স্বয়ংক্রিয় মহাকাশযান নিয়ে সৌরজগতের বাইরে অসীম দূরত্ব পেরিয়ে যাওয়া তাই এখন আর নিছক কল্পনা মাত্র নয়। বরং তা হয়ে উঠছে এক সম্ভাবনা। শেষ পর্যন্ত তা কতটা সত্যি হয়ে ওঠ, সেটাই দেখার।