অর্ণব দাস, বারাসত: অভাবের সঙ্গে নিত্য লড়াই চলত। দেগঙ্গার দীপক পাইন ভাবতেও পারেননি রাতারাতি এভাবে ফিরবে ভাগ্য। কিন্তু হল ঠিক সেটাই। লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হলেন সামান্য এক মুদি দোকানের কর্মী। এতে নতুন আতঙ্ক তাড়া করছে বৃদ্ধকে। বাধ্য হয়ে টিকিট নিয়ে দেগঙ্গা (Deganga) থানার দ্বারস্থ হলেন তিনি।
দেগঙ্গার কলসুরের বাসিন্দা দীপক পাইন। তিনি একটি মুদিখানার দোকানে কাজ করেন। বাড়িতে এক ছেলে ও স্ত্রী রয়েছেন। অভাব নিত্যসঙ্গী। দুবেলা খাবার জোগাড় করায় তাঁর পক্ষে কষ্টের। কোনওমতে দিন গুজরান হয়। আর্থিক সংকট কাটাতে মাঝেমধ্যেই লটারি টিকিট কাটতেন দীপকবাবু। মাঝে মধ্যে অল্প টাকা মিললেও, বড় অঙ্ক পাননি তিনি। আশা করেছিলেন তেমনটাও নয়।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা, মুর্শিদাবাদের সান্যাল বাড়ির দুর্গাপুজোয় অংশ নেন মুসলমানেরাও]
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে এক লটারি বিক্রেতা কার্যত জোর করেই টিকিট দেন দীপকবাবুকে। পকেটে টাকা না থাকায় দামও দিতে পারেননি তিনি। ফলাফল বের হতেই চক্ষুচড়কগাছ। জানা যায়, এক কোটি টাকা জিতেছেন দরিদ্র মুদি দোকানের কর্মচারী। খবর পাওয়া মাত্রই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান তিনি। পাশপাশি আতঙ্কিতও হন। তাই বুধবার সটান হাজির হয়ে যান দেগঙ্গা থানায়। ব্যাংকের মাধ্যমে টিকিটের টাকা পাওয়া এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত সহযোগিতা চান পুলিশের কাছে। পুলিশের সহযোগিতায় সমস্ত কাজ সম্পন্ন করেন তিনি।
পুলিশের সহযোগিতা পেয়ে খুশি দীপক পাইন বলেন, “মঙ্গলবার রাতে দোকান মালিকের কথায় পাশের দোকান থেকে চা আনতে গিয়েছিলাম। সেই সময় টিকিটের দোকানে ৮ টি টিকিট পড়েছিল, বাকিতে সেগুলো কিনি। এরপর রাতে টিকিটের দোকান থেকে খবর পাই এককোটি টাকা জিতেছি।” দীপকবাবু জানিয়েছেন, এই টাকায় ছেলের ভবিষ্যৎ গড়বেন তিনি। পাশাপাশি একটি পাকা বাড়ি তৈরি করবেন। শিব মন্দিরের ছাদ দিয়ে দেবে। আর স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাবেন শেষ জীবন।