চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: করোনা রুখতে মরিয়া কেন্দ্র-রাজ্য। জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। এই পরিস্থিতিতে করোনা উধাও করার মাদুলি বিক্রি শুরু করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার (Haldia) এক বৃদ্ধ। বিষয়টি জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয়দের।
করোনা (Coronavirus) রুখতে প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সচেতন করা হচ্ছে আমজনতাকে। তা সত্ত্বেও করোনা নিয়ে ভীতি রয়েছেই। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন হলদিয়ার সুতাহাটার রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সৈয়দ আবদুল কাদের। অভিযোগ, কোভিড তাড়াতে অব্যর্থ মাদুলি তৈরি করে বিক্রি করছেন তিনি। যদি সুফল মেলে, সেই আশায় প্রচুর মানুষ কিনছেন সেই মাদুলি। আবদুলের এই মাদুলি বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়দের সচেতন করতে তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। বিষয়টি জানতে পেরেই আত্মগোপন করেন ‘মাদুলিবাবা’ আবদুল সৈয়দ।
[আরও পড়ুন: বিয়ের অনুষ্ঠানে বিধি শিথিল করতে মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট পাত্রীর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিলল সাড়া]
জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে সুতাহাটা ব্লক প্রশাসন ও সুতাহাটা থানার পক্ষ থেকে লাগাতার মাইকিং করা হচ্ছে। বারবার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, মাদুলি ধারণ না করে সরকারি করোনা বিধি মেনে চলার। টিকার উপর আস্থা রাখার কথাও বলা হচ্ছে। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সোচ্চার হয়েছেন জেলার চিকিৎসক মহল এবং বিজ্ঞান মঞ্চ।
কোভিড ১৯ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। অতিমারীর হাত থেকে রক্ষার পথ মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং টিকা নেওয়া। কিন্তু কিছু মানুষ মাদুলি দিয়ে, করোনা দেবীর পুজো করে আয়ের পথ প্রশস্ত করছেন। এটা কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু নয়। তাই অবিলম্বে এই বুজরুকি বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে স্থানীয় বিডিও আসিফ আনসারি জানান, “কোভিড সচেতনতার নামে বুজরুকি বরদাস্ত করা যায় না। আমরা জনসচেতনতার জন্য প্রচার করছি।”