শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: সম্পত্তি নিয়ে সন্তানের সঙ্গে বিবাদের জেরে খুন নাকি অন্য কিছু? পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে (Daspur) ১০৭ বছর বয়সি বৃদ্ধর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। ঘটনাস্থলেই লাল কালিতে লেখা ছিল ‘বেইমানির প্রায়শ্চিত্ত’। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, তা জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
নন্দ মণ্ডল নামে একশো সাত বছর বয়সি ওই বৃদ্ধ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের রানিচক এলাকার বাসিন্দা। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জনবহুল জায়গায় একটি ছাউনির নিচে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়। প্রায় গোটা শরীরই সেই সময় পুড়ে গিয়েছিল তাঁর। ওই বৃদ্ধের পাশে একটি কাগজে লেখা হুমকি চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। তাতে লেখা ছিল ‘বেইমানির প্রায়শ্চিত্ত’। একটি হুইল চেয়ার এবং নেশার সামগ্রীও পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সিট গঠনের মাসখানেকের মধ্যে রসিকা জৈন হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার বধূর স্বামী]
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে। ওই বৃদ্ধর চার ছেলে। তাঁর মধ্যে তিনজন কর্মসূত্রে থাকেন চেন্নাইতে। এক ছেলে থাকেন দাসপুরে। তবে ছোট ছেলে প্রেমচাঁদের পরিবারেই থাকতেন ওই বৃদ্ধ। যত্নেই শ্বশুরকে রাখতেন প্রেমচাঁদের স্ত্রী। এই বয়সেও হাঁটা চলা করে বেড়াতেন ওই বৃদ্ধ। খেলতেন তাস। দিনকয়েক ধরে ভাইদের মধ্যে সম্পত্তিগত বিবাদ চলছিল। এই বিবাদের জেরে ওই বৃদ্ধকে ছেলে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেট্রল বা কেরোসিন গায়ে ঢেলে পুড়িয়ে দেয় বলে অনুমান। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ‘বেইমানির প্রায়শ্চিত্ত’ লেখা কাগজটিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কেন তাঁর পাশ থেকে এ ধরনের লেখা উদ্ধার হল, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুন নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বৃদ্ধ, পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।