সৌরভ মাজি, বর্ধমান: অবশেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মাকে খুনের (Murder) কথা স্বীকার করে নিল বর্ধমান কাণ্ডে ধৃত নয়ন শেখ। জানাল, মায়ের আচরণ তার পছন্দ হত না। মা নোংরা হয়ে গিয়েছিল বলেই ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করেছিল। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরও নির্লিপ্ত অভিযুক্ত।
বর্ধমানের (Bardhaman) হাঁটুদেওয়ান পীরতলা ক্যানেলপারের বাসিন্দা শেখ নয়ন আলি। দাদা কিসমত আলি অন্যত্র থাকতেন। মা সুকরানা বিবি থাকতেন নয়নের সঙ্গেই। বরাবরই ঘুরতে যেতে ভালবাসতেন তিনি। ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি হঠাৎই উধাও হয়ে যান সুকরানা বিবি। বড় ছেলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলেও কোনও লাভ হয়নি। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি মায়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। তারপর বহু দিন পেরিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছে বহিরাগতরা, ক্ষোভপ্রকাশ হাই কোর্টের ]
গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল নয়নের। বিষয়টি জানতে পেরে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন কিসমত। বাপের বাড়ি গিয়ে নয়নের স্ত্রীকে সংসারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। সেই সময়ই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনেন নয়নের স্ত্রী। তিনিই কিসমতকে জানান, ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাকে খুন করেছে নয়ন। সব জানার পর মঙ্গলবার সকালে নয়নের বাড়িতে যান, জিজ্ঞাসাবাদ করেন ভাইকে। তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। এরপর প্রতিবেশীদের সামনে লাগাতার প্রশ্ন করা হলে ভেঙে পড়ে নয়ন। মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় সে। এরপরই বিষয়টি জানানো হয় বর্ধমান থানায়।
বুধবার ধৃত নয়নকে নিয়ে পুলিশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার মায়ের দেহ। মাটি খুঁড়তেই মেলে সুকরানা বিবির দেহাংশ। সেই সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে নয়ন জানান, মায়ের আচরণ তার পছন্দ হত না। তার কথায়, “মা নোংরা হয়ে গিয়েছিল। আমি অনেকবার বারণ করেছিলাম। কিছু শোনেনি।” খুনের কথা স্বীকার করার পাশাপাশি সে জানিয়েছে মায়ের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেছিল সে। তবে রাগের বশে মাকে খুন করলেও পরে অনুশোচনা হয়েছে বলেই দাবি তার। নয়নের আচরণে রীতিমতো হতবাক পুলিশ।