সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহুতল থেকে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হল এক বৃদ্ধার দেহ৷ চেতলার এই ঘটনায় চমকে উঠেছেন প্রতিবেশীরা৷ এই ঘটনার নেপথ্যে ছেলের যোগসাজশ রয়েছে বলেই সন্দেহ প্রতিবেশীদের৷ কীভাবে মারা গেলেন ওই বৃদ্ধা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা৷ পুলিশ মৃতার ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে৷
[ আরও পড়ুন: ‘তুকতাকে মেয়ের মৃত্যু’, বদলা নিতে সুপারি কিলার দিয়ে ভাইপোকে খুন কাকার]
ছেলের সঙ্গে চেতলায় একটি বহুতলে বাস করতেন বৃদ্ধা৷ বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না৷ প্রতিবেশীদের পাশাপাশি বহুতলের কেয়ারটেকারও তাঁকে দেখতে পাচ্ছিলেন না৷ শুক্রবার রাতে ওই আবাসন থেকে দুর্গন্ধ পান অনেকেই৷ কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিবেশীরা৷ এরপর তাঁরা একজোট হয়ে বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা ধাক্কা দেন৷ তড়িঘড়ি বৃদ্ধার ছেলে দরজাও খুলে দেন৷ ঘরের ভিতর থেকে কীসের গন্ধ ছাড়ছে, জানতে চান প্রতিবেশীরা৷ অপলক দৃষ্টিতে ওই যুবক উত্তর দেন, তাঁর মা মারা গিয়েছেন৷ তাই হয়তো ওই দেহ থেকে দুর্গন্ধ আবাসনে ছড়িয়ে পড়েছে৷ এরপর প্রতিবেশীরা ভিতরে ঢুকে দেহ দেখে আঁতকে ওঠেন৷ আধপোড়া দেহ দেখতে পান তাঁরা৷ প্রতিবেশীদের দাবি, যখন দেহটি দেখেছেন তাঁরা, তখনও তা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল৷ ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয় চেতলা থানায়৷ দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ ওই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়৷
[ আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার তরুণী, ধৃত ২ অভিযুক্ত]
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বেশ কয়েকদিন আগেই বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন৷ তবে তা সত্ত্বেও দেহ উদ্ধারের সময় ধোঁয়া কেন দেখা গিয়েছিল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই বৃদ্ধার ছেলেকে আটক করেছে৷ কীভাবে বৃদ্ধার মৃত্যু হল, সেই প্রশ্নের উত্তরে তৈরি হয়েছে জটিলতা৷ পুলিশের দাবি, কখনও বৃদ্ধার ছেলে বলছেন, তাঁর মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ আবার কখনও তিনি দাবি করেছেন, নিজেই নাকি মাকে খুন করেছেন৷ এদিকে আবার প্রতিবেশীদের দাবি, বৃদ্ধার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন৷ প্রায়শই মা এবং কেয়ারটেকারদের সঙ্গে বিবাদেও জড়িয়ে পড়তেন তিনি৷ একদিকে প্রতিবেশীদের দাবি, আরেকদিকে বৃদ্ধার ছেলের নানারকম দাবি, সবমিলিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি৷ পুলিশও এতে কোনও ইঙ্গিত পাচ্ছে না৷ গোটা ঘটনা ক্রমশই জটিল হচ্ছে৷ সেই জট কাটাতেই আপাতত তৎপর চেতলা থানার পুলিশ৷