সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। আলফা (ULFA) গোষ্ঠীর একটি বোমা বিস্ফোরণের মামলায় গুয়াহাটির সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছাত্রনেতা। সেই সঞ্জীব তালুকদার (Sanjib Talukdar) স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা প্রথম স্থান অধিকার করে তাক লাগালেন। অসমের (ASSAM) রাজ্যপাল স্বর্ণপদক দিলেন অভিযুক্ত যুবকের হাতে। যদিও মেধাবী ছেলে মু্ক্তি না পাওয়ায় মন খারাপ পরিবারের।
সেটা ২০১৯ সাল। অসমের রাজধানী দিসপুরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় অসমের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম (ULFA)। ওই হামলায় কারও মৃত্যু না হলেও ১২ জন আহত হয়েছিলেন। সেই মামলাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সঞ্জীব তালুকদার। এর পর থেকে গুয়াহাটির জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। সঞ্জীবের মামলা বর্তমানে আদালতে গুয়াহাটি হাই কোর্টে বিচারাধীন।
সঞ্জীবের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারির সময় ছাত্র নেতা গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানির এমফিলের ছাত্র ছিলেন। ভেবেছিলেন বন্দি হলেও জেলেই এমফিল শেষ করবেন। কিন্তু জেলে এই বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো কৃষ্ণকান্ত হান্ডিক স্টেট ওপেন ইউনিভার্সিটিতে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভরতি হন। জেলেই ওই বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পরীক্ষার পর সম্প্রতি ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যা দেখার তাক লেগেছে গোটা অসমের।
কারণ জেলবন্দি সঞ্জীব তালুকদার সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। ২৯ বছরের ছাত্র নেতা ৭১ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। যার পর রীতি অনুযায়ী তাঁকে স্বর্ণপদক দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখি (Jagdish Mukhi)। সঞ্জীবের বোন ডলি বলেন, “মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে আমাদের। ও স্বর্ণপদক পাওয়ায় খুশি হয়েছি স্বভাবতই কিন্তু মন ভাল নেই। কারণ এখনও জেলবন্দি রয়েছে। আমরা জানি ও নির্দোষ। আলফার সঙ্গে ওর সংযোগের কথা প্রকাশ্যে আসায় অবাক হয়েছিলাম। ন্যায়বিচার পাবই।” উল্লেখ্য, মাস চারেক বাদে সঞ্জীবের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে গুয়াহাটি হাই কোর্ট।